সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ০৩ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রত্নপাথর রপ্তানিতে ৩০% প্রবৃদ্ধি পাকিস্তানের যাযাদি ডেস্ক পাকিস্তানের রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম মূল্যবান রত্নপাথর। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলো পাকিস্তানের রপ্তানি করা মূল্যবান রত্নপাথরের প্রধান ক্রেতা। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রম্নয়ারি) মূল্যবান রত্নপাথর রপ্তানি বাবদ পাকিস্তানের আয়ে ৩০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছে। এ সময় দেশটি থেকে মূল্যবান রত্নপাথর রপ্তানি বেড়েছে দুই টন। পাকিস্তান বু্যরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের (পিবিএস) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার ও ডন। পিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রম্নয়ারি সময় পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে পাঁচ টন মূল্যবান রত্নপাথর রপ্তানি হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে দেশটি তিন টন মূল্যবান রত্নপাথর রপ্তানি করেছিল। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে পাকিস্তান থেকে মূল্যবান রত্নপাথর রপ্তানি বেড়েছে দুই টন। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই-ফেব্রম্নয়ারি সময় মূল্যবান রত্নপাথর রপ্তানি করে পাকিস্তানি রপ্তানিকারকরা সব মিলিয়ে ৩৪ লাখ ৫৯ হাজার ডলার আয় করেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে পাকিস্তানের রপ্তানিকারকরা মূল্যবান রত্নপাথর রপ্তানি বাবদ ২৬ লাখ ৫১ হাজার ডলার আয় করেছিলেন বলে জানিয়েছে পিবিএস। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে মূল্যবান রত্নপাথর রপ্তানি করে পাকিস্তানি রপ্তানিকারকদের আয় বেড়েছে আট লাখ আট হাজার ডলার। মার্জিন ঋণে সুদ আরোপ বন্ধ রাখতে রকিবুর রহমানের আহ্বান যাযাদি রিপোর্ট করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারে মার্জিন ঋণের ওপর সুদ আরোপ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মো. রকিবুর রহমান। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক রকিবুর রহমান বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান। বিবৃতিতে তিনি মার্জিন একাউন্টে সুদ আরোপ ছয় মাস স্থগিত রাখার আহ্বান জানান। বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য তিনি অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, একজন পুঁজিবাজারবান্ধব ব্যক্তি হিসেবে অর্থমন্ত্রী সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে অন্যান্য খাতে প্রণোদনা দেয়ার বিষয়ে যেমন গুরুত্ব দিয়েছেন, মার্জিন ঋণের সুদের বিষয়েও একইরকম গুরুত্ব দিবেন বলে তার আশা। উলেস্নখ, মার্জিন ঋণ হচ্ছে শেয়ার বাজার মিউচু্যয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনার জন্য গ্রাহককে দেয়া মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউসের বিশেষ ঋণ। বর্তমান আইন অনুসারে, মার্জিন ঋণের হার হচ্ছে ১:০.৫। অর্থাৎ গ্রাহকের ১০০ টাকা মূলধনের বিপরীতে তাকে ৫০ টাকা ঋণ দেয়া যায়। আইন অনুসারে, গ্রাহকের ডেবিট ব্যালেন্স ৬৬ শতাংশের নিচে নেমে এলে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান বাড়তি টাকা জমা দেয়ার জন্য গ্রাহককে নোটিশ দেয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তা জমা না দিলে বা দিতে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের সিকিউরিটিজ (শেয়ার/মিউচু্যয়াল ফান্ডের ইউনিট/বন্ড) বিক্রি করে দিয়ে সমন্বয় করে নিতে পারে। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানে মার্জিন ঋণের সুদের হার ১৪-১৬ শতাংশ পর্যন্ত। প্রতি তিন মাসে এই সুদ-আসলের সঙ্গে সমন্বয় করা হয় বলে বার্ষিক কার্যকর সুদের হার দাঁড়ায় প্রায় ২০ শতাংশ। শ্রমিকদের সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ সাইফ পাওয়ারটেকের যাযাদি রিপোর্ট পুঁজিবাজারে তালিকভুক্ত কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। কোম্পানিটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ও চট্টগ্রাম কনটেইনার টার্মিনালে (সিসিটি) কনটেইনার লোড-আনলোড স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ পরিবহণ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন জানান, করোনাভাইরাসের কারণে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় এনসিটি ও সিসিটির কর্মীদের নগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আনা-নেয়া করতে তিনটি বাসের ব্যবস্থা করেছি আমরা। একটি বাস কাঠগড়, একটি বহদ্দারহাট এবং অপরটি অলঙ্কার থেকে আমাদের শ্রমিকদের আনা-নেয়া করছে। রুহুল আমিন বলেন, আমাদের কর্মীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় উপকরণাদি সরবরাহ করেছি। সবার জ্বর পরীক্ষা করে ইয়ার্ডে ঢোকাচ্ছি। নিজস্ব চিকিৎসকের ব্যবস্থা করেছি।