হুমকির মুখে বিসিকের সাড়ে ২৭ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি, শিল্পোৎপাদনসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়ছে। এর ফলে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) অধীন ৭৬টি শিল্প এলাকার প্রতিটি কারখানা বর্তমানে বন্ধ। এসব কারখানায় শিল্প মালিকদের প্রায় ২৭ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকার আর্থিক বিনিয়োগ রয়েছে। করোনার কারণে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ আজ হুমকির মুখে পড়েছে। ?রোববার (৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ বিসিক শিল্প মালিক সমিতির পক্ষ থে?কে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞ?প্তি?তে এসব কথা জানানো হয়। একই স?ঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিসিক শিল্পনগরীর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সুরক্ষায় সরকারের সহযোগিতা চে?য়ে?ছেন বিসিক শিল্প মালিকরা। সংবাদ বিজ্ঞ?প্তিতে বলা হয়, করোনা প্রাদুর্ভাবে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় বি?শেষ পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় মোট ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিসিক শিল্পমালিকরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিসিক শিল্প মালিক সমিতির ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি, ঢাকা শিল্প নগরী শিল্প মালিক সমিতির (কেরানীগঞ্জ বিসিক) সভাপতি ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সহসভাপতি হোসেন এ সিকদার জানান, দেশের সব বিসিক শিল্প এলাকার কারখানাগুলোয় দক্ষ, অর্ধদক্ষ, অদক্ষ মিলিয়ে প্রায় ৫ লাখ ৯০ হাজার ৬২০ জন শ্রমিক কর্মচারী কর্মরত আছেন। আর এসব কারখানায় শিল্প মালিকদের প্রায় ২৭ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকার আর্থিক বিনিয়োগ রয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশব্যাপী লকডাউন থাকায় বিসিক শিল্প এলাকায় বর্তমানে সব উৎপাদনমুখী কলকারখানা বন্ধ রয়েছে। ফলে এ বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ আজ হুমকির মুখে পড়েছে। বিসিক শিল্প এলাকার কারখানাগুলো মূলত স্থানীয় বাজারনির্ভর। কাঁচামালের সরবরাহ না থাকায় উৎপাদন, স্থানীয় বাজারে বিপণন, সরবরাহ, রপ্তানি কার্যক্রম এখন বন্ধ রয়েছে। উৎপাদন বন্ধ থাকায় কিছুদিন পর শ্রমিকদের বেতন, বোনাস দেওয়া শিল্প মালিকদের জন্য অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। তাছাড়া পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরও আসন্ন। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার ৫টি প্যাকেজ ঘোষণা করায় বাংলাদেশ বিসিক শিল্প মালিক সমিতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। পাশাপা?শি উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেশ ক?য়েক?টি দা?বি ক?রে?ছেন বিসিক শিল্প-মা?লিকরা। এর ম?ধ্যে রয়েছে বিসিক শিল্প এলাকার কারখানাসমূহের পানির বিল আগামী ৬ মাস মওকুফ করার জন্য এবং প্রতি মাসের বিদু্যৎ ও গ্যাস বিল পরবর্তী ৬ মাস ৩টি সমবিভাজিত কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ প্রদান করা। বিসিকের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি শিল্প পস্নটের নির্ধারিত একটি সার্ভিস চার্জ রয়েছে, যা আগামী ১ বছরের জন্য মওকুফ এবং বিসিক শিল্প নগরীর অন্তর্ভুক্ত পস্নটের কিস্তি আগামী ১ বছরের জন্য স্থগিত রাখতে সরকারের কাছে আবেদন জা?নানো হয়েছে।