সৌদি-রাশিয়া দ্বন্দ্বে পেছাল ওপেক পস্নাস বৈঠক

প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
গত সপ্তাহে আংশিক দর পুনরুত্থানের পর, সোমবারের বৈঠকটি পেছানোর প্রেক্ষিতে আবারও দরপতনের শিকার হতে চলেছে জীবাশ্ম জ্বালানি তেল। বিশ্বের জীবাশ্ম জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় উত্তোলনকারীদের জোট ওপেক এবং তার সহযোগীদের মাঝে জ্বালানি তেলের সরবরাহ কর্তনের বৈঠক পিছিয়েছে। আগামীকাল সোমবার নির্ধারিত এই ভার্চুয়াল বৈঠক ওপেক পস্নাস জোটের মাঝে একটি ঐক্যের সূচনা করবে এমন আশা করছিলেন জ্বালানি বাজার বিশেষজ্ঞরা। তবে শেষ মুহূর্তের বিবাদে ওপেক ও তার মিত্রদের জোট- ওপেক পস্নাসের বৈঠক আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এই সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনবিসি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিএনবিসিকে জানান, রুশ প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আগামী সোমবারের বৈঠকে বিশ্ব বাজারে জীবাশ্ম জ্বালানি তেলের দৈনিক সরবরাহ ১৫ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত কমাতে চলেছেন। এনিয়ে উলেস্নখিত দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেছেন বলেও জানান ট্রাম্প। এরপরেই সৌদি ও রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান মতবিরোধে বৈঠক পেছানোর খবর জানা গেল। ওপেক পস্নাসের সরবরাহ কর্তনের বৈঠক পেছানোর ফলে বিশ্ব বাজারে চলতি সপ্তাহে ফের জ্বালানি তেলের বড় দরপতন প্রায় নিশ্চিত। এর আগে গত সপ্তাহে বিশ্ব মহামারির মাঝেও জ্বালানি তেল আন্তর্জাতিক বাজারে কিছুটা শক্তিশালী দর অর্জন করেছিল। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন জ্বালানি তেল ২৫ শতাংশ দর বৃদ্ধি অর্জন করে, করোনাভাইরাসের বিশ্ব মহামারির মাঝে যা একদিনে শীর্ষ দর বৃদ্ধির রেকর্ড। গত শুক্রবার নাগাদ তা আরও ১২ শতাংশ বাড়ে। গত শনিবার নাগাদ তা ৩২ শতাংশ দর প্রবৃদ্ধি নিয়ে সপ্তাহ শেষ করে (যেহেতু রোববার ছুটির দিন)। বর্তমানে কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে বৈশ্বিক অর্থনীতি। বন্ধ হয়ে আছে শিল্পাঞ্চল, লকডাউন চলছে দেশে দেশে। এই অবস্থায় জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা এখন সর্বনিম্ন অবস্থানে। এসব কিছু মিলিয়ে ১৯৮৩ সালের পর চলতি বছর জুড়েই ব্যাপক সংকোচনের মুখে পড়ে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দর। এমন পরিস্থিতিতে ওপেক পস্নাস বৈঠক স্থগিত হওয়ার ফলে বাজার ধস আরও গভীর হলো, বলে জানান ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের বিশেষজ্ঞ জন কিলডাফ। তিনি বলেন, (জ্বালানি বাজার) এখন এক গভীর খাদের নিচে অবস্থান করছে। সৌদি-রাশিয়া বৈঠক পেছানোর ফলে সেই খাদের গভীরতা আরও বাড়ল। বিবাদমান দুই পক্ষের অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে অচিরেই তারা ঐক্যবদ্ধ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে না।