সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ০৯ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা লকডাউন যাযাদি রিপোর্ট ব্যাংক কর্মকতা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় রাজধানীর মতিঝিলে অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা লকডাউন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহম্মদ শামসুল ইসলাম। তিনি জানান, ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার এক কর্মকর্তার জ্বর ছিল। পরে টেস্ট করার পর রেজাল্ট কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া গেছে। তাই শাখাটি লকডাউন করে দিয়েছি। তিনি বলেন, যে কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেন শাখায় কাজ করতেন। তার সঙ্গে এই সময় ব্যাংকে ছিলেন ৬২ জন, তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৪ দিন ব্যাংক লকডাউন থাকবে। আর প্রিন্সিপাল শাখার কার্যক্রম মতিঝিল আমিন কোর্ট শাখায় স্থানান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ৮১% কর্মজীবী :আইএলও যাযাদি ডেস্ক করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে পুরো বিশ্ব এখন লকডাউন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কারখানা পুরোপুরি কিংবা আংশিক বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ফলে বর্তমানে ৩৩০ কোটি কর্মজীবী মানুষের মধ্যে ৮১ শতাংশই কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত করোনার বিপর্যয়ে কর্মসংস্থান ও কর্মঘণ্টায় প্রভাববিষয়ক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরেছে। এতে বলা হয়েছে, করোনার বিপর্যয়ের কারণে ২০২০ সালে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) বিশ্বব্যাপী মোট কর্মঘণ্টার ৬ দশমিক ৭ শতাংশ কমে যাবে; যা সাড়ে ১৯ কোটি পূর্ণকালীন শ্রমিকের কর্মঘণ্টার সমান। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে ৫০ লাখ পূর্ণকালীন শ্রমিকের কাজের সমান কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে। ইউরোপে এক কোটি ২০ লাখ এবং এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ১২৫ কোটি পূর্ণকালীন শ্রমিকের কাজের সমান কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে। আর সার্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর কর্মঘণ্টায়ই বলছে আইএলও। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, করোনার বিপর্যয়ের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে আবাসন, হোটেল-মোটেল, খাবার ব্যবসা, উৎপাদন, খুচরা ব্যবসা। এতে শ্রমবাজারে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হবে তা নির্ভর করছে এ ঝুঁকি মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো কোন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বা নেবে তার ওপর। নতুন এক সমীক্ষা তুলে ধরে আন্তর্জাতিক এ শ্রম সংস্থা বলছে, বিশ্বের ১২৫ কোটি শ্রমিক সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন। তারা যেসব খাতে কাজ করেন ওইসব প্রতিষ্ঠান করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে, অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। এসব খাতের অনেক কর্মী ছাটাই হবে আবার অনেকের মজুরি ও কাজের সময় কমে যাবে। আইএলও তথ্য বলছে, কাজ হারানো বা মজুরি কমে যাওয়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ খাতগুলোতে কাজ করেন এমন ৪৩ শতাংশ আমেরিকা অঞ্চলের এবং আফ্রিকা অঞ্চলের ২৬ শতাংশ শ্রমিক রয়েছেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিকরা করোনার কারণে বেশি বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছেন। অতি দ্রম্নত সঠিক সিদ্ধান্ত ও তা বাস্তবায়ন করতে পারলেই টিকে থাকা সম্ভব হবে।