বিদু্যতের জ্বালানি তেল আমদানিতে বিশেষ সুবিধা

প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের সময়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও শিল্পোৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে বেশকিছু নীতি-সহায়তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে বিদু্যৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের সহযোগী কোম্পানির মাধ্যমে বিনা অনুমতিতে জ্বালানি তেল আমদানি করতে পারবে। এছাড়া এখন থেকে স্থানীয় ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের (এলসি) বিল নস্ট্রো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত দুটি সার্কুলার জারি করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, দেশের ৪-৫টি বিদু্যৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সহযোগী কোম্পানির (সিস্টার কনসার্ন) মাধ্যমে বিদেশ থেকে কাঁচামাল হিসেবে ফার্নেস অয়েল ও হাই-সালফার ফুয়েল অয়েল আমদানি করে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এ শর্ত শিথিল করা হয়েছে। করোনার কারণে সাধারণ ছুটির সময়ে জ্বালানি আমদানিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে না। অনুমোদনের শর্ত শিথিল করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, আমদানি এলসির মেয়াদ বাড়িয়ে আগেই ৩৬০ দিন করা হয়েছে। এখন কাঁচামাল হিসেবে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জ্বালানি তেল আমদানির জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে না। তবে বিদু্যৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সংশ্লিষ্ট সহযোগী কোম্পানি বিদু্যৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জ্বালানি তেল আমদানি করতে পারবে। অন্যদিকে সাধারণ ছুটিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বন্ধ থাকায় নস্ট্রো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এলসি বিল পরিশোধ করা যাবে। নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট হচ্ছে বিদেশের দায়দেনা পরিশোধের জন্য বিদেশের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্ট। এ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্রাহকের পক্ষে বিদেশি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে সংশ্লিষ্ট পণ্য বিক্রেতার এলসি মূল্য পরিশোধ করা হয়। আবার রপ্তানি বিল ও রেমিট্যান্সের অর্থ ওই নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে যোগ হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, স্থানীয় ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিল বৈদেশিক মুদ্রায় নিয়োজিত ব্যাংকগুলো তাদের নস্ট্রো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবে। এ বিলের পরিমাণ যেহেতু স্বল্প, তাই করেসপন্ডেন্ট (প্রতিনিধি) বিদেশি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলাপ করে এ লেনদেনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন চার্জ নিতে হবে।