সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কাস্টমসের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশ যাযাদি রিপোট দেশের অভ্যন্তরীণ সরবরাহশৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে দেশের সব কাস্টম হাউজ ও কাস্টম স্টেশনে স্বাভাবিক দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (২২ এপ্রিল) এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস নীতি) মোহাম্মদ মেহরাজ-উল-আলম সম্রাট স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অফিস আদেশে একই সঙ্গে বলা হয়েছে, এর আগে জারিকৃত বর্ণিত আদেশ বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই আদেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা সময় করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রথম দফায় গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দ্বিতীয় দফায় তা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এবং তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সরকারের বিভিন্ন মাধ্যমের বরাতে শোনা যাচ্ছে, এই ছুটি আরও এক সপ্তাহ বাড়তে পারে। আর এরই মধ্যে এনবিআর থেকে কাস্টম হাউজ ও স্টেশনগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার এ আদেশ এলো। তবে সাধারণ ছুটির মধ্যেই সীমিত আকারে খোলা রয়েছে ব্যাংক। পাশাপাশি নিত্যপণ্য, ওষুধসহ জরুরি সেবাগুলো খোলা রয়েছে। চিড়া-মুড়ি উৎপাদন করছে ময়মনসিংহ-নওগাঁর বিসিক শিল্পনগরী যাযাদি রিপোর্ট আসন্ন রোজাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) ময়মনসিংহ ও নওগাঁ শিল্পনগরীর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগু?লো চিড়া-মুড়িসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন করছে। রমজান মাসে ভোক্তাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছে। বুধবার এক বার্তায় এ তথ্য জা?নি?য়ে?ছে বিসিক। বিসিক সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ ও নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীর মোট ১১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বর্তমানে দৈনিক ৯০ টনের অধিক চিড়া ও মুড়ি উৎপাদন করছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা। ময়মনসিংহ ও নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীতে উৎপাদিত চিড়া ও মুড়ি বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়। বিসিক শিল্পনগরী ময়মনসিংহের কর্মকর্তা মো. মনজুরুল ইসলাম জানান, এ শিল্পনগরীতে মোট ৭২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে পবিত্র রমজানে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৭টি শিল্প কারখানা চালু রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি কারখানায় বর্তমানে দৈনিক ৮৬ টন মুড়ি ও চিড়া উৎপাদিত হচ্ছে। চিড়া-মুড়ি ছাড়াও ময়মনসিংহ বিসিক শিল্পনগরীতে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, বিস্কুট, কেক, রুটি, সরিষার তেল, মশার কয়েল, বালাইনাশক, প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে বলে জানান মনজুরুল ইসলাম। অন্যদিকে, নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীতে ৫৩টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে ২৯টি চালু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে চারটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বর্তমানে দৈনিক সাড়ে চার টন চিড়া ও মুড়ি উৎপাদন করছে। এছাড়া এ শিল্পনগরীতে চাল, ডাল, সরিষার তেল, খৈল, পশুর ওষুধ ও খাদ্য, পাউরুটি, বিস্কুট, কেক, ডাল ও ভুসি, টিউবওয়েলের হেডসহ অন্যান্য হালকা প্রকৌশল যন্ত্রপাতি উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীর কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল আজিম বলেন, কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি বিসিকের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করার পাশাপাশি কারখানা চালু রাখতে মালিকদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীতে মোট এক হাজার ৭০২ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে তিনি জানান। গার্মেন্ট খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি যাযাদি রিপোর্ট করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়ে বন্ধ থাকা তৈরি পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ)। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব বরাবর এ-সংক্রান্ত চিঠি দেন বিজিবিএর সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসাইন। চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনায় প্রায় এক মাস ধরে লকডাউনের কারণে গার্মেন্ট বায়িং হাউস ও পোশাক কারখানার কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে লাখ লাখ পোশাকশ্রমিক ও কর্মকর্তা প্রায় বেকার। বায়িং হাউস ও ট্রেডিং ব্যবসায়ীদের জীবন-জীবিকা অনিশ্চয়তার মুখোমুখি। সংগঠনটি দাবি করেছে, পোশাক খাতের প্রতিযোগী দেশগুলো ক্রমশ ব্যবসা খুলে দিচ্ছে।