অগ্রিম আয়করের কারণে

লোকসান প্রথমবারের মতো লভ্যাংশ দেবে না হাইডেলবার্গ

প্রকাশ | ০৭ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সিমেন্টের অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর সমন্বয়ের সুযোগ না থাকায় ২০১৯ হিসাব বছরে লোকসান গুনতে হয়েছে সিমেন্ট খাতের বহুজাতিক কোম্পানি হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডকে। যদিও আগের বছরের তুলনায় ২০১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে। এর ফলে প্রথমবারের মতো সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে হাইডেলবার্গ ১ হাজার ১৯৮ কোটি টাকার সিমেন্ট বিক্রি করেছে, যেখানে এর আগের বছর বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ১১৫ কোটি টাকার। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির গ্রস মুনাফা হয়েছে ১২২ কোটি টাকা, যা এর আগের বছরে ছিল ১৯৩ কোটি টাকা। কর পরিশোধের পর ২০১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটির ১৮ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে, যেখানে এর আগের বছরে মুনাফা ছিল ৮০ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩০ পয়সা, যেখানে আগের বছর ইপিএস ছিল ১৪ টাকা ৩৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৭১ টাকা ৮৮ পয়সা, যা এর আগের বছরে ছিল ৮২ টাকা ৬৮ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট পরিচালন নগদ প্রবাহ (এনওসিএফএস) হয়েছে ৪ টাকা ৬৫ পয়সা, যা আগের বছরে ছিল ১১ টাকা ৩১ পয়সা। আগামী ২৪ জুন বেলা ১১টায় কোম্পানিটির নারায়ণগঞ্জের কারখানায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। বিনিয়োগকারী বাছাইয়ের জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ মে। ২০১৮ হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর আগে ২০১৭ সালে ১৫০ শতাংশ, ২০১৬ সালে ৩০০ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৩০০ শতাংশ এবং ২০১৪ সালে ৩৮০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। প্রসঙ্গত, ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে কাঁচামাল আমদানির ওপর ৫ শতাংশ হারে অগ্রিম আয়কর থাকলেও সেটি নূ্যনতম করদায় হিসেবে বিবেচিত হতো না। এর ফলে করযোগ্য আয়ের ওপর প্রদেয় করের সঙ্গে আমদানি স্তরে প্রদত্ত অগ্রিম আয়কর সমন্বয়ের সুযোগ ছিল। কিন্তু ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে অর্থবিলে সংশোধনীর মাধ্যমে সিমেন্ট উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে আদায়কৃত ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর নূ্যনতম করদায় হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। এর ফলে এ প্রদত্ত কর চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচিত হবে।