গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান

প্রকাশ | ০৯ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সাংবাদিক, অধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং গণমাধ্যমের উপর থেকে সমস্ত বিধি-নিষেধ অবিলম্বে অপসারণ এবং অবাধ তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে সাংবাদিকতার সক্রিয় পরিবেশ তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে বেসরকারি গবেষণা সংগঠন 'ভয়েস' রোববার একটি অনলাইন আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে উপস্থিত ছিলেন ভয়েস-এর নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ, আরটিকেল ১৯-এর এশিয়া আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল, ব্যারিস্টার জ্যোতিরময় বড়ুয়া, লেখক ও গবেষক আরশাদ সিদ্দিকী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক মো. সাইমুম রেজা তালুকদার প্রমুখ। ভয়েস-এর নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ অবধি প্রায় ৫৪ জন সাংবাদিক ভয়-ভীতিসহ নির্মমভাবে আক্রমণ, হয়রানি ও গ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন। উলেস্নখ্য, শুধু এপ্রিল মাসে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আক্রমণ ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা সঠিক তথ্য না পাওয়ায় প্রশাসনের বিধিনিষেধ এবং চাপসহ বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন, যা অনভিপ্রেত। আরটিকেল ১৯-এর এশিয়া আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল বলেন যে, কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অস্বচ্ছতা ও এর মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় খোদ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরাই প্রশাসনিক হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। একদিকে সাংবাদিকরা যখন ত্রাণ বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের খবর তুলে ধরছেন, অন্যদিকে সরকার তখন করোনা সংক্রান্ত তথ্য জানার সুযোগ সাংবাদিকদের জন্য আরও সীমিত করছে। ব্যারিস্টার জ্যোতিরময় বড়ুয়া বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন এবং অপরাপর নিবর্তনমূলক আইনের মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে। সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ-এ বর্ণিত শর্তগুলো নিবর্তনমূলক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম সহায়ক হিসেবে যে কাজ করছে, এসব শর্তসমূহের পরিবর্তন করতে হবে। মো. সাইমুম রেজা তালুকদার, প্রভাষক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বলেন, কোভিড ১৯ সংক্রান্ত তথ্য ও সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে হয়রানি, হেনস্তা, মামলা ইত্যাদি থেকে সুরক্ষা প্রদান করার জন্য 'জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন ২০১১'-এর প্রয়োগের ব্যাপারে আরও সোচ্চার হতে হবে এবং মিথ্যা তথ্য ও গুজব মোকাবেলায় গৃহীত যে কোনো পদক্ষেপ আগে যথাযথ জুডিশিয়াল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাচাই ও অনুমোদন করতে হবে। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ভয়েস-এর গবেষক আফতাব খান শাওন, সেতুর পরিচালক আব্দুল কাদের, গণসাক্ষরতা অভিযানের প্রোগ্রাম ম্যানেজার, কে এম এনামুল হক প্রমুখ।