আজ থেকে খুলছে ঢাকার বেশ কিছু মার্কেট

প্রকাশ | ১০ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আজ থেকে দোকান ও শপিংমল সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাস উদ্বেগজনক হারে বিস্তারের কারণে রাজধানীর বেশকিছু বড় শপিংমল ও মার্কেট ঈদের আগে না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বেশকিছু মার্কেট রোববার থেকে খুলছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব জহির আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, 'আগামীকাল (আজ) থেকে রাজধানীর গাউছিয়া, চাঁদনীচক, ইস্টার্ন পস্নাজা, ইস্টার্ন মলিস্নকা, গাজী শপিং কমপেস্নক্স এবং এলিফ্যান্ট রোডের সব দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা সরকারের নিয়ম প্রতিপালন করেই মার্কেট খোলা রাখবে।' এদিকে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নিজ নিজ সিদ্ধান্তে খুলবে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারের স্বাস্থ্যবিধির সব শর্ত মানতে হবে। শুক্রবার রাতে জরুরি বৈঠক করে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশীয় পোশাক ব্র্যান্ডগুলোর সংগঠন ফ্যাশন এন্টারপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এফইএবি)। তবে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে অনেক শপিংমল ও মার্কেট ইতোমধ্যে ঈদের আগে না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এগুলো হচ্ছে- দেশের অন্যতম সেরা শপিংমল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপেস্নক্স ও যমুনা ফিউচার পার্ক, বায়তুল মোকাররম মার্কেট, ঢাকা নিউমার্কেট, মৌচাক ও আনারকলি মার্কেট এবং মোতালেব পস্নাজা। বর্তমান পরিস্থিতিতে দোকানদার ও ক্রেতা উভয়ের স্বাস্থ্যের দিকটি বিবেচনা করে মার্কেট না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ৪ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দোকান ও শপিংমল ১০ মে থেকে খোলার কথা চিঠিতে উলেস্নখ করা হয়। তবে বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ রোগের বিস্তার রোধ এবং পরিস্থিতির উন্নয়নের লক্ষ্যে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার ৭ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি/জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা/সীমিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে শর্তাদি বিবেচনা করে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট, শপিংমলসহ অন্যান্য কার্যাবলি ১০ মে থেকে সীমিত আকারে খুলে দিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হলো। তবে এক্ষেত্রে আন্তঃজেলা ও আন্তঃউপজেলা যোগাযোগ/চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। হাট-বাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টায় খুলবে এবং বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত সতর্কতা গ্রহণ করার কথা চিঠিতে উলেস্নখ করা হয়। এদিকে গত বৃহস্পতিবার ক্রেতার নিজ এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিংমলে কেনাকাটা করতে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এতে আরও বলা হয়, প্রত্যেক ক্রেতাকে নিজ পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স) ইত্যাদি সঙ্গে রাখতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগরীতে শপিংমল ও মার্কেট খোলা রাখার বিষয়ে ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি।