করোনা সংকটেও টাকা নিয়ে যাচ্ছে বহুজাতিক কোম্পানি!

প্রকাশ | ১২ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ বরাবরই শেয়ারহোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশ দেয়। তবে করোনা সংকটের মধ্যে ২০১৯-২০ হিসাব বছরের লভ্যাংশের ক্ষেত্রে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি যে মুনাফা হয়েছে তার থেকে বেশি লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। বড় ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও দেশীয় বিনিয়োগকারীরা তার খুব একটা সুফল পাবেন না। কারণ কোম্পানিটির মাত্র ১ দশমিক ২১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে দেশীয় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৯০ শতাংশই উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ রয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে। ফলে কোম্পানিটির লভ্যাংশের প্রায় সম্পূর্ণ অংশই চলে যাবে দেশের বাইরে। বহুজাতিক আরেক কোম্পানি রেকিট বেনকিজার। এ কোম্পানিটিও ২০১৯ সালের লভ্যাংশ ঘোষণার ক্ষেত্রে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ ১২৫০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে গিয়ে কোম্পানিটি যে মুনাফা দেখিয়েছে তার অর্ধেকই এসেছে শেষ তিন মাসে। অর্থাৎ বছরের শেষ তিন মাসে বছরের প্রথম নয় মাসের সমান মুনাফা হয়েছে। এ কোম্পানিটিরও স্বল্পসংখ্যক শেয়ার রয়েছে পুঁজিবাজারে। প্রতিষ্ঠানটির মোট শেয়ারের ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ আছে দেশীয় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে আছে ৮২ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে আছে ৩ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। অর্থাৎ এ কোম্পানিটিও যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে তার সিংহভাগ চলে যাবে দেশের বাইরে। শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বছরের পর বছর ধরে মুনাফার প্রায় সম্পূর্ণ অংশ দেশের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। এতে বহুজাতিক এসব কোম্পানির বিদেশি উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা লাভবান হলেও দেশীয় বিনিয়োগকারীরা সুফল পাচ্ছেন না। বরং নামমাত্র শেয়ার পুঁজিবাজারে ছেড়ে কোম্পানিগুলো সরকারের কাছ থেকে আরও বড় সুবিধা নিয়ে যাচ্ছে। তারা বলছেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে ১০ শতাংশ কর ছাড় পাওয়া যায়। তালিকাভুক্ত কোম্পানি মুনাফার ২৫ শতাংশ কর দেয়। তালিকাভুক্ত না হলে ৩৫ শতাংশ কর দিতে হয়।