ভারতে ৩০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছে জিটিই

প্রকাশ | ১৩ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে চাপে পড়েছে বৈশ্বিক বাণিজ্য। ভোক্তা চাহিদা কমে যাওয়ায় শ্লথ হয়ে পড়েছে উৎপাদনমুখী খাত। এ অবস্থায় আর্থিক চাপ সামলাতে অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাইয়ের দিকে ঝুঁকছে। এ ধারা থেকে বাদ যায়নি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও। মরণঘাতী ভাইরাসটির বিরূপ প্রভাবে চীনের টেলিকম যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জিটিই ভারতে তাদের কর্মীর সংখ্যা ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনছে। দেশটিতে ব্যবসা কমে আসায় টেলিকম উৎপাদক প্রতিষ্ঠানটি এখন পরিচালন খরচ কমাতে মোট কর্মী সংখ্যার ৩০ শতাংশ বা প্রায় ৬০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে বলে জানা গেছে। খবর :ইকোনমিক টাইমস। খাতসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল), ভোডাফোন আইডিয়া ও ভারতী এয়ারটেল নেটওয়ার্ক উৎপাদন যন্ত্রাংশ ক্রয় করা এরই মধ্যে অর্ধেকের বেশি কমিয়ে দিয়েছে। অর্থনৈতিক চাপ এবং ব্যবসায় ধস নামায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলো। আর প্রধান ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায় ধসের কারণে দেশটিতে চাপে পড়েছে চীনা প্রযুক্তি যন্ত্রাংশ উৎপাদন জিটিই। এক বছর আগেও জিটিইর কর্মী সংখ্যা এক হাজারের বেশি ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯-এর ধাক্কায় ফেব্রম্নয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে আয়ের বিপরীতে পরিচালন ব্যয় বাড়তে থাকায় মহামারির মধ্যেও লোকবল কমানো শুরু করে জিটিই। জিটিইর সাবেক একজন কর্মী মনে করেন, ভারতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির পর্যাপ্ত প্রজেক্ট না থাকার কারণে কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে, বিষয়টি মোটেও এমন নয়। বরং প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘদিনের গ্রাহক ভোডাফোন আইডিয়া, ভারতীয় এয়ারটেল ও বিএসএনএলের মতো প্রতিষ্ঠান আর্থিক চাপে রয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে জিটিইর ওপর। এর আগে ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে ভারতে লকডাউন শুরু হলে প্রতিষ্ঠানটির তিনটি পরিচালন বিভাগের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কর্মীকে চাকরি ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় তাদের চাকরিচু্যতের অংশ হিসেবে দুই মাসের বেতন দেওয়া হয়। কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে ইকোনমিক টাইমসের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে কোনো জবাব দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে চলমান লকডাউনের মধ্যে ছাঁটাইকৃত কর্মীদের অনেকেই জিটিই থেকে দেওয়া স্স্নিপসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অফিসে ট্যাগ করে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছে। জানা গেছে, চীনা টেলিকম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা দীর্ঘদিন থেকেই ভালো যাচ্ছে না। ক্রমাগতভাবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা তলানিতে যাওয়া শুরু করেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা টিকে রয়েছে ভোডাফোন, ভারতীয় এয়ারটেল এবং রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান বিএসএনএলকে ঘিরে। তবে সেখানেও ভাটা পড়ায় প্রতিষ্ঠানটি আরও বাড়তি চাপে পড়েছে।