নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঈদে পারকি সৈকতে পর্যটকের ঢল

প্রকাশ | ১৬ মে ২০২১, ২০:৩৩

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার দেশের বিভিন্ন পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ করার প্রজ্ঞাপন জারি করলেও ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পারকি সৈকতে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি ও ১৮ দফা সিদ্ধান্ত অমান্য করে পর্যটকের ঢল নেমেছে। করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি হলে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনসমাগম রোধে পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখাসহ ১৮ দফা সিদ্ধান্ত গত ১ এপ্রিল থেকে পারকি সৈকতে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে আনোয়ারা উপজেলা প্রশাসন। তবে নিষেধাজ্ঞা নয়, পারিক সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশ কাজ করছে বলে জানান বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুর রহিম।

 

সরেজমিনে রোববার বিকাল ৪টায় পারকি সমুদ্রসৈকতে দেখা যায়, হাজার হাজার পর্যটক ট্রাক, বাস, প্রাইভেট কার ও বিভিন্ন যানবাহনে সৈকতে প্রবেশ করছে। পর্যটকের গাড়ির কারণে চাতরী চৌমহনী ও বন্দর সেন্টারে ট্রাফিক পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। এ সময় পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি কিংবা মাস্ক ব্যবহার করতেও দেখা যায়নি। সৈকতের প্রবেশ মুখে পুলিশ থাকলেও তারা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য বলে জানান।

 

নগরীর বাকলিয়া থেকে সপরিবারে বেড়াতে আসা সাইফুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় বাচ্চাদের নিয়ে কোথাও বেড়ানো যাচ্ছে না। পারকি সৈকত প্রবেশে বাধা নেই শুনে চলে আসছি।

 

কর্ণফুলী থানার বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুর রহিম জানান, পারকি সৈকতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি ও নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে ওপর খেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ জানান, সৈকতে প্রবেশে পর্যটকদের ওপর জেলা প্রশাসক থেকে জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা এখনো রয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের জারিকৃত ১৮ দফা সিদ্ধান্ত জনগণকে মহামারি থেকে রক্ষা করার জন্য। পারকি সৈকতে সরকারের  নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

যাযাদি/এস