বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

যমুনা পাড়ে ভ্রমন পিপাসুদের ভীড়

চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২৫ জুলাই ২০২১, ১৬:১৬

কঠোর লকডাউনেও চৌহালী ও এনায়েতপুরের যমুনা পাড়ে ভ্রমন পিপাসুদের ঘুরে বেড়ানো থেমে নেই। বেড়াতে আসা বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। ঈদের দিন বিকেল থেকে চৌহালী শহর রক্ষা বাঁধ, এনায়েতপুর ও বেতিল স্পার বাঁধ এলাকায় মানুষের ভীড় দেখে আতঙ্কিত সচেতন মহল। তবে পুলিশের দাবি, লকডাউন কার্যকরে প্রশাসন মাঠে রয়েছে। বেড়াতে আসা মানুষকে ঘরে ফিরে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।

জানা যায়, যমুনা তীরে বিশ্বমানের ৮০০ শয্যাবিশিষ্ট খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, দৃষ্টিনন্দন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ কারুকাজ খচিত বিশ্বশান্তি মঞ্জিলে মাজার শরিফ অবস্থিত। এসব দেখতে

সারাবছরই ভক্তবৃন্দসহ দেশ-বিদেশের হাজার মানুষের ঢল নামলেও ঈদ-পূজাসহ অন্যান্য পার্বণে ভ্রমণপিপাসুদের পদচালনায় মুখরিত হতো পুরো এলাকা। তবে করোনার কারনে সরকারী বিধি নিষেধ কার্যকরে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গুলো রয়েছে কঠোর অবস্থানে। যে কারনে এবার ঈদে ভ্রমন পিপাসুরা যমুনা নদীর পশ্চিম তীরের বিভিন্ন লকেশনে ঘুরতে বেড় হচ্ছে। অপর দিকে চৌহালী শহর রক্ষা বাঁধেও ঈদ পরবর্তী ঘুরে বেড়ানো মানুষের সংখ্য কমছে না। তবে কঠোর লকডাউনে পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে চোর পুলিশ খেলার মত অবস্থা হয়। এদিকে যমুনা নদীতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে নৌভ্রমণে

বেড়িয়ে পড়েছেন। তবে এবার করোনার দীর্ঘ ঘরবন্দি অবস্থায় থাকার পর ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে কঠোর লকডাউনে পড়ে বহু লোকজন স্বজন সহ বন্ধু বান্ধবীদের নিয়ে যমুনার চরে এসে পিকনিক করছে। এতে এলাকায় করোনা সংক্রমন ঝুঁকি বাড়ছে বলে চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল কাদের জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে চৌহালী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, কঠোর লকডাউন কার্যকরে প্রশাসন সর্বাত্মক কাজ করছে। সরকারী বিধি অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে