চকরিয়ায় শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কে বেড়েছে প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটক-দর্শনার্থীর আগমন

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০২১, ২১:০১ | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২১, ২১:৪৬

মুহাম্মদ মনজুর আলম . চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

 

সরকারি নির্দেশনার মোতাবেক মহামারি করোনা সংকট কাটিয়ে অবশেষে খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের পর্যটন স্পটসমুহ। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার ২০ আগস্ট থেকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে দেশের প্রথম চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়ক লাগোয়া কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্ক।

 

দীর্ঘদিন করোনা সংক্রমণের কারণে বন্ধ থাকলেও সরকারি ঘোষনা মোতাবেক সম্প্রতি সময়ে পর্যটন স্পটসমুহ খুলে দেয়ার পরপর দেশের অপারপর পর্যটন জোনের মতো চকরিয়াস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কেও বেড়েছে প্রকৃতিপ্রেমী দর্শনার্থীদের সমাগম। গতকাল  শুক্রবার ও আজ শনিবার খোলার দুইদিনে সাফারি পার্কে বেশ পর্যটক-দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে বলে জানিয়েছেন পার্কের সংশ্লিষ্টরা।

 

সাফারি পার্ক সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বৈশি^ক মহামারি করোনা সংক্রমণের কবলে প্রায় ১৭মাস বন্ধ থাকার পর ইতোমধ্যে ভ্রমন পিপাসু পর্যটক-দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাতে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্ক। ইতোমধ্যে দর্শনার্থীদের কাছে চিত্র-বিনোদন আরো আকষর্ণীয় করতে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে পার্কের সবগুলো পর্যটন স্পট।

 

পাশাপাশি চলতি ২০২১ অর্থবছরে অন্তত ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে পার্কের আধুনিকায়নে বাস্থবায়ন করা হয়েছে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প। তদমধ্যে নতুনরূপে সাজানো হয়েছে বাঘ সিংহ ও তৃনভোজী প্রাণীর বেস্টনী, বড়পরিসরে তৈরী করা হয়েছে বাঘের নিরাপদ আবাসস্থল। এছাড়াও পার্কের ভেতরে দর্শনার্থীদের চলাচল নিশ্চিতে সংস্কার করা হয়েছে সাত কিলোমিটার ভঙ্কুর সড়ক। আধুনিকায়ন করা হয়েছে পর্যবেক্ষন টাওয়ারকে। একইসঙ্গে রংয়ের তুলিতে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে পার্কের প্রতিটি অবকাঠামো এবং প্রাণীশালা গুলো।

 

অপরদিকে করোনাকালীন সময়ে কোলামুক্ত পরিবেশ থাকায় ছিল না পর্যটক-দর্শনার্থীদের আগমন। ওই সময় বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে ছিল পার্কের প্রাণীকুল। আর সেই সুযোগে করোনাকালের অন্তত কোলাহলমুক্ত পরিবেশে প্রাণীকুলে যেমন প্রাণচাঞ্চল্য ছিল, তেমনি আগমন ঘটেছে একের পর এক প্রাণীদের প্রসব করা নতুন নতুন অতিথির। বেড়েছে প্রাণীগুলোর পরিবারের সদস্য সংখ্যাও। পার্কের প্রতিটি প্রাণীকুলে বংশ বিস্তার ঘটেছে। জন্ম নেওয়া প্রাণীর মধ্যে হরিণ, বানর, ভাল্লুক, জলহস্তি। পাশাপাশি জন্মলাভ করেছে ময়ূরসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির। করোনা মহামারিতে পার্কে অন্তত শতাধিক বন্যপ্রাণী নতুন অতিথি জন্ম দিয়েছে বলে জানিয়েছে পার্কের কর্তৃপক্ষ। এসব জন্ম নেওয়া বেশির ভাগ প্রাণী নিবিড় পরিচর্যায় বড় করে তুলছেন পার্কের ভেটেরিনারি বিভাগের সদস্যরা।

 

যাযাদি/ এস