এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস সরাসরি কক্সবাজার-সেন্টমার্টিনস যাতায়াত শুরু

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০২১, ১৩:০৩

যাযাদি ডেস্ক

 

দেশের প্রথম সমুদ্রগামী জাহাজ এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের সরাসরি কক্সবাজার-সেন্টমার্টিনসের মধ্যকার যাতায়াত শুরু হয়েছে। কক্সবাজার শহরের বিমানবন্দর সড়কের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টায় যাত্রা শুরু করে দুপুর ১ টায় সেন্টমার্টিনস পৌঁছায় জাহাজটি। সেখানে আড়াই  ঘন্টা যাত্রা বিরতীর পর বিকেল সাড়ে ৩ টায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বিলাসবহুল এই জাহাজ।

 

গত বছর ৩০ জানুয়ারি এক জমকালো আনুষ্ঠানিকতার মধ্য যাত্রা শুরু হয় এই নৌরুটের।

 

কক্সবাজার থেকে সরাসরি সেন্টমার্টিনস পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের দাবি দীর্ঘদিনের। কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স (লি.) এর উদ্যোগ ও পরিচালনায় অবশেষে এই দাবি পূরণ হল বলা চলে। অন্যদিকে আগামী ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্রগ্রামের পতেঙ্গা ওয়াটার বাসটার্মিনাল থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এই কোম্পানির আরেক বিলাসবহুল ক্রুজশীপ ‘এমভি বেওয়ান’। এটাও চলতি পর্যটন মৌসমে চট্রগ্রাম-সেন্টমার্টিনসের মধ্যে নিয়মিত চলাচল করবে। চট্রগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটেও সমুদ্রগামী বিলাসবহুল কোন জাহাজের যাতায়াত এটাই প্রথম।  

 

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লিলাভূমী বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প থেকে এতদিন পিঁছিয়ে থাকলেও যুগান্তকারী কিছু উদ্যোগের কারণে পর্যটনের সম্ভাবনাগুলো ক্রমশঃ এখন ডানা মেলতে শুরু করেছে। সম্প্রতি এই শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও উদ্যোক্তা প্রকৌশলী এম এ রশিদ। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে সরাসরি সেন্টমার্টিন সমুদ্রভ্রমণে বিলাসবহুল জাহাজের যাত্রার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন এই উদ্যোক্তা তথা শিল্পপতি।

 

কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ জানান, এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেসকে নিজস্ব ডকইয়ার্ডে একটি অত্যাধুনিক বিলাসবহুল জাহাজ হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে।  প্রায় ৫৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে ও ১১ মিটার প্রশস্ত এই নৌযানে মেইন প্রপালেশন ইঞ্জিন- দুটি। আমেরিকার বিখ্যাত কামিন্স ব্র্যান্ডের এই ইঞ্জিনের একেকটির ক্ষমতা প্রায় ৬০০ বিএইচপি করে। জাহাজটি ঘণ্টায় প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটতে পারে। ১৭টি ভিআইপি কেবিন সমৃদ্ধ এটি। নৌযানটিতে তিন ক্যাটাগরির প্রায় ৫০০ আসন রয়েছে। রয়েছে কনফারেন্স রুম, ডাইনিং স্পেস, সি ভিউ ব্যালকনিসহ আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।

 

উল্লেখ্য, পাহাড় সমুদ্র বরাবরই টানে পর্যটকদের। সাগরের বিশালতার কাছে গেলেই প্রকৃতি সকলকে আপন করে নেয়। তাই বিশ্বের বৃহত্তম সৈকত কক্সবাজার এর গুরুত্ব অন্যতম। এদিকে কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে সাগরবক্ষের ক্ষুদ্রাকৃতির নয়নাভিরাম প্রবাল দ্বীপ- সেন্টমার্টিন। যা বিশ্বের অন্যতম সুন্দর প্রবালদ্বীপ হিসেবে পরিচিত। ফলে পর্যটকদের কাছে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনস এর গুরুত্ব বরাবরই অসিম। কিন্ত কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনস যাতায়াত করতে পর্যটকদের পাড়ি দিতে হত টেকনাফের এবরোথেবরো বিরক্তিকর দীর্ঘ স্থল পথ। সম্প্রতি এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস সেই বোরিং জার্নিকে নীল সমুদ্রের নান্দনিক ভ্রমণে রুপ দিয়েছে। নিংসন্দেহে যা এক বিরল সুযোগ ও সম্ভাবনার পদধ্বনী।

 

ভ্রমণের ব্যয়সহ বিস্তারিত জানতে : ০১৮৭০-৭৩২ ৫৯৯, ০১৮৭০-৭৩২ ৫৯৪ । 

 

যাযাদি/ এমডি