সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন ভ্রমণে আসা তিন হাজার পর্যটক

বৈরী আবহাওয়ার কারণে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী হাজার চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে সেন্টমার্টিন দ্বীপে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভ্রমণে যাওয়া তিন হাজার পর্যটক আটকা পড়েছে।

এদিকে রবিবার কক্সবাজার, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনসহ উপকূলে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সেন্টমার্টিনে নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূল এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া যেতে পারে। এ কারণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এর ফলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান যায়যায়দিন কে ৩নং সংকেতের কারণে সমুদ্র উত্তাল। তাই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া প্রায় তিন হাজার পর্যটক বিভিন্ন হোটেল ও কটেজে আটকা পড়েছে। পর্যটকদের মাঝে হতাশা ও উদ্বেগ কাটাতে পরিষদের পক্ষে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে সেন্টমার্টিনের হোটেল ব্লু মেরিন, মুদ্র কুঠির, সেন্ডশোর, সীমানা পেরিয়েসহ বিভিন্ন হোটেলে আটকা পড়া পর্যটকরা অবস্থান করছেন।

সোমবার সকালে যায়যায়দিন কে বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রায় ৩ হাজার মত পর্যটক আটকা পড়েছে। তাদের সার্বিক দেখা শুনার জন্য আমি সরাসরি এবং সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন দেখাশোনা করছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আটকা পড়া পর্যটকদেরকে পর্যটকবাহী জাহাজ যোগে টেকনাফ নিয়ে আসা হবে। বর্তমানে তারা নিরাপদ ও সুস্থ রয়েছেন।আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপদে রাখার ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে তিনি।

যাযাদি/ এস