ভ্রমণের সময় প্রবীণদের যা খেয়াল রাখা উচিত

প্রকাশ | ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:১২

যাযাদি ডেস্ক

অনেক ভ্রমণ উৎসাহী আছেন যারা প্রবীণ বয়সে পদার্পণ করার পরেও ভ্রমণ চালিয়ে যেতে থাকেন। আবার অনেকে ইচ্ছা পোষণ করেন যে অবসর জীবনযাপনের সময় ভ্রমণে যাবেন।

তবে বয়সে প্রবীণ হওয়ায় অনেক সময় তারা অনেক কিছু ভুলে যান। তাই প্রবীণদের ভ্রমণের যেসব বিষয় খেয়াল রাখা উচিত তা নিয়ে প্রতিবেদন করেছে সংবাদ সংস্থা ইউএনবি।

ট্যুর সার্ভিস বাছাই

কোথাও বেড়াতে গেলে অবশ্যই প্রবীণবান্ধব ট্যুর সার্ভিস বেছে নিন। সাধারণত এসব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রবীণদের ভ্রমণের জন্য বিশেষায়িত ব্যবস্থা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের স্টাফরা প্রবীণদের সমস্ত সুবিধা-অসুবিধার দিকে বিশেষভাবে নজর রাখেন।

আগেই টিকিট বুক করুন

কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগেই আপনার টিকিট বুকিং দিন। এটা আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনার সর্ব প্রথম ভাগ। যদি আপনি আগে ভাগেই টিকিট না পান, তাহলে আপনার পরবর্তী সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না।

অন্য কোনো সুবিধা আছে কিনা জেনে নিন

জেনে নিন প্রবীণদের জন্য কোনো রকম ছাড় বা অন্য কোনো সুবিধা আছে কিনা। অনেক সময় উন্নত দেশগুলো প্রবীণদের জন্য নানা ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে থাকে। যেমন- আপনি বাস, ট্রেনের টিকিট কিনতে গেলে ছাড় পাবেন।

ছাড়া আপনার ভ্রমণের সময় নানারকম সহযোগিতা লাগতে পারে। যেমনচলাফেরায় সমস্যা হলে অনেকের হুইল চেয়ার বা একজন সঙ্গী লাগে। তাই আগেভাগেই জেনে নিন আপনার সে রকম কোনো সহযোগিতা লাগবে কিনা বা সে রকম কোনো ব্যবস্থা আছে কিনা।

গন্তব্য নিয়ে একটু হোমওয়ার্ক করুন 

ভ্রমণের সব থেকে বড় বিপদ হচ্ছে গন্তব্য সম্পর্কে অজ্ঞতা। অনেকেই জানেন না, যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার পরিবেশ পরিস্থিতি কেমন। সেখানে আবহাওয়া খুব ঠান্ডা নাকি কাঠফাটা রোদ্দুর। ছাড়া খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারটিও মাথায় রাখতে হবে।

এসব বিষয় বিবেচনায় আপনার উচিত গন্তব্য সম্পর্কে আগে থেকেই একটু গবেষণা করে নেওয়া। তাহলে ভ্রমণের সময় অন্য কোনো সমস্যা হবে না বলে আশা করা যায়।

সময়ানুবর্তিতা

আপনার সব পরিকল্পনা ঠিক আছে। সব কিছুই আপনার অনুকূলে। কিন্তু আপনি বাস, ট্রেন বা বিমানে চড়তে পারলেন না। কেন? কারণ আপনি দেরি করে স্টেশনে পৌঁছেছেন। অথবা আপনি আপনার যাত্রার সময়টি খেয়াল করেননি।

তাই সময়ানুবর্তী না হলে আপনাকে হয়তো আবারও নতুন করে পরিকল্পনা করতে হতে পারে। এতে আপনার সময় এবং শ্রম দুটোই নতুন করে বিনিয়োগ করতে হবে।

প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সঙ্গে রাখুন

আপনাকে যদি নিয়মিত ভিত্তিতে কোনো ওষুধ সেবন করতে হয়, তাহলে অবশ্যই সেগুলো ভ্রমণের সময় সঙ্গে রাখতে হবে। হতে পারে আপনি যে ওষুধ প্রয়োজন, আপনার ভ্রমণস্থলে তা দুষ্প্রাপ্য।

তাই বাসা থেকে বের হবার আগেই আপনার সমস্ত দরকারি ওষুধ গুছিয়ে একটি ছোট কৌটায় করে ব্যাগে রেখে দিন।

কিছু শুকনো খাবার রাখুন

যখন আপনি দূরে কোথাও যান, তবে সঙ্গে হালকা কিছু শুকনো খাবার রাখুন। এক বোতল পানি রাখতেও ভুলবেন না যেন। এতে করে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত আপনাকে অভুক্ত বা পিপাসার্ত থাকতে হবে না।

 

যাযাদি/সাইফুল