ধর্ষণ মামলায় কারাগারে, বিয়ের পর মিলল মুক্তি

প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১৯:৫৭

যাযাদি ডেস্ক

 

শারীরিক সম্পর্ক করে সেগুলোর গোপন ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ায় মামলায় কারাগারে যান লিটন। তবে দুই পক্ষের আপসে গত মঙ্গলবার আদালত প্রাঙ্গনেই তাদের বিয়ে হয়েছে। আসামি সজিবকেও কারাগার থেকে আজ বুধবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

 

গতকাল মঙ্গলবার কুমিল্লায় আদালত প্রাঙ্গণে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে পড়ানো হয়। কিন্তু কনে বাড়িতে গেলেও বরকে পাঠানো হয় কারাগারে। বুধবার (২৫ নভেম্বর) সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার এক তরুণীর সঙ্গে একই উপজেলার এক সৌদি প্রবাসীর বিয়ে হয়। তাদের চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ২০১৫ সালে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয় একই উপজেলার পারুয়ারা গ্রামের সজিব হোসেন লিটনের।

 

লিটন বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই গৃহবধূর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন। পরে তাদের কিছু আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন।

 

লিটনের চাহিদা মতো আরও টাকা না দেওয়ায় সেই আপত্তিকর ভিডিও প্রবাসী স্বামীর পরিবারে পাঠান। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূকে তালাক দেন তার স্বামী। পরে তার কাছ থেকে পুনরায় পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন লিটন। এ ঘটনায় গত অক্টোবরে চৌদ্দগ্রাম থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে লিটনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই গৃহবধূ। ওই মামলায় লিটনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে উভয়পক্ষের আপসে গতকাল তাদের বিয়ে হয়।

 

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সরকার গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বাদী ও আসামিপক্ষ এলাকায় বিয়ের শর্তে আপস করেছে। আপসের শর্তে আদালত প্রাঙ্গণে বিয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়।’

 

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ জানান, গতকাল কারাগারে ওই ব্যক্তির জামিনের কাগজ আসে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বুধবার সকালে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

 

যাযাদি/এম.এস/৭.৫০