ধুনটে ধর্ষণ মামলায় সহযোগিতায় পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড

প্রকাশ | ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:৫৩

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার ধুনটে ধর্ষণ মামলার আসামীদের সহযোগিতা করার অভিযোগে ধুনট থানার এসআই আহসানুল হককে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। বুধবার (২ ডিসেম্বর) রাতে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাকে ধুনট থানা থেকে ক্লোজ করা হয়।

 

জানা গেছে, ধুনট উপজেলার দেউড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা (৩৬) একই গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে গত ১৬ জুলাই রাস্তা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

একাজে গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফজলুল হক বাবু ওই অপহরকারীকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন।

 

এঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা গত ১২ আগস্ট বাদি হয়ে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পহরনকারী মাসুদ রানা ও ইউপি সদস্য ফজলুল হক ছাড়া আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ওই স্কুল ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছেন তার স্বজনরা। উদ্ধারের পর ওই স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে।

 

এবিষয়ে মামলার বাদী অভিযোগ করে বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আহসানুল হক আদালতে ইউপি সদস্য ফজলুল হকের নাম বলতে আমাকে নিষেধ করেন। তার এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের অসহযোগিতা করেছেন এবং আসামীদেরকে সহযোগিতা করছেন এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।

তবে এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার এসআই আহসানুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে বাদি সম্পূন্ন মিথ্যা ও বনোয়াট অভিযোগ করেছে। প্রকৃতপক্ষে বাদি টাকা নিয়ে মামলা মীমাংসা করে এখন পুলিশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

 

এবিষয়ে ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, স্কুল ছাত্রী অপহরণের অভিযোগ দায়েরের পরপরই থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

তবে ওই মামলার বাদীর সাথে কোন অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়েছে কিনা তা জানা নেই। তবে পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।

 

যাযাদি/এসএইচ