গাজীপুরে প্রতিবন্ধী দিবস ভাতা বৃদ্ধির দাবি প্রতিবন্ধীদের
প্রকাশ | ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:৪৫
‘কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সম্পৃক্ত করি, নতুনভাবে টেকসই বিশ্ব গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গাজীপুরে ২৯ তম আন্তর্জাতিক এবং ২২তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে এ উপলক্ষে র্যালি, আলোচনাসভাসহ নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলম প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরের নাটমন্দিরের এক সভায় এসে যোগ দেয়। পরে নাটমন্দিরে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এসএম আনোয়ারুল করিমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আফরোজা আক্তার রিবা, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হাদী শামিম, মাজহারুল ইসলাম। এসময় জাহাঙ্গীর আলম প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক শিক্ষিকাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে গাজীপুরস্থ শারীরিক প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারী মো. আব্দুল জলিল এ প্রতিনিধিকে জানান, কোভিড-১৯ মহামারীকালে তারা প্রথম ধাপে কিছু খাদ্য সহায়তা পেলেও তা ছিল খুবই অপ্রতুল। করোনার দ্বিতীয় দফার সংক্রমন বাড়লেও এখন পর্যন্ত আমরা কোন সহায়তা পাইনি। তালিকাভুক্ত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সরকারিভাবে প্রতিমাসে সাড়ে সাতশ টাকা পান । তাতে প্রতিদিনের জন্য গড়ে ২৫টাকা পড়ে। গত দুই বছর ধরেই ওই পরিমাণ ভাতার টাকা দেয়া হচ্ছে। এ দিয়ে একজন বড়লোকের চায়ের খরচও হয়না। তিনি ওই টাকা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বলেন, মাসিক ভাতা ন্যূনতম পাঁচ হাজার টাকা করা হউক। এতে কিছুটা হলেও সমাজে সম্মান নিয়ে টিকে থাকতে পারবো।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এসএম আনোয়ারুল করিম জানান, জেলায় তালিকাভুক্ত ৭২১১জন প্রতিবন্ধী রয়েছেন। তাদের ’সূবর্ণ নাগরিক কার্ড’ দেয়া হয়েছে। এ কার্ডে তারা সরকারি ভাতাও পান। এর বাইরেও ১৭৮৬ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হয়। এসব প্রতিবন্ধীর মধ্যে অটিজম ৪৪৮জন, শারীরিক প্রতিবন্ধী ২০০০জন, মানসিক প্রতিবন্ধী ৮৬জন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ৪৩৮জন, বাক প্রতিবন্ধী ৫৮২জন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ৭০৮জন, শুধু শ্রবন প্রতিবন্ধী ১৯৫জন, শ্রবন ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ১৯জন, সেরিব্রাল পালসি ১২৩৪জন, বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী ১৩৫২, ডাউন সিন্ড্রোম ৪৯জন এবং অন্যান্য ১০০জন প্রতিবন্ধী রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় দফায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়তা দেয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।