গালুয়া পাকা মসজিদ ৩শ বছরের ঐতিহ্য

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৪:৪৩

আবু সায়েম আকন, রাজাপুর,ঝালকাঠি

 

ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় ৩শ বছরের পুরোনো গালুয়া পাকা মসজিদটির অবস্থান। এই মসজিদটি রাজাপুর-ভান্ডারিয়া মহাসড়কের গালুয়া বাজার এলাকা থেকে এক কিলোমিটার পূর্বে দুর্গাপুর গ্রামে অবস্থিত।

 

মসজিদটির ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে স্থানীয় মুরুব্বিদের থেকে জানাগেছে, তখনকার একজন ধর্মপ্রান মানুষ এই মসজিদটি তৈরি করেন। ওই ধর্মপ্রান মানুষটি ছিলেন মাহমুদজান আকন্দ(মামুজি)। এলাকাবাসীর ধারণা মসজিদটি বাংলা ১১২২ সালে নির্মান করা হয়েছিল। মসজিদের কাছে পাওয়া একটি শিলালিপি থেকে এর নির্মাণকাল সম্পর্কে ধারণা করা হয়।

 

এলাকার লোকমুখে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে, এই মসজিদের সংস্কার করার জন্য ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করার সময় বড় বড় বিষধর সাপ এর ভিতর থেকে বেড়িয়ে আসতে শুরু করে। তখন সংস্কার করতে আশা লোকজন ও এলাকাবাসী ভয় পেয়ে যায়। পরে গালুয়ার মরহুম পীরসাহেব মাহতাব উদ্দিন (রহ) এর কথামত মসজিদের একটি অংশ খুলে দেওয়া হলে সাপগুলো ওই স্থান ত্যাগ করে।

 

রাজাপুরের প্রতœতাত্বিক গবেষক ও রাজাপুর সরকারী কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আজিজুল হক জানান, এই মসজিদটি গালুয়া বাজার থেকে এক কিলোমিটার পূর্ব দিকে বড়বাড়ি সংলগ্ন অবস্থিত। মসজিদটি প্রায় ৩শত বছর আগের নির্মিত। মাহমুদজান আকন্দ নামে তৎকালীন একজন স্থানীয় প্রভাবশালী ধর্মপ্রাণ মুসলমান বাংলা ১১২২ সালে এটি নির্মাণ করেন। একটি পরিত্যাক্ত শিলাখন্ডে এর তৈরি সাল পাওয়া যায়। এর বাজু বেশ প্রশস্ত। এ মসজিদটি টালি ইটের তৈরি।

 

বর্তমানে মসজিদটি সংস্করণ করা হয়েছে বলে এর ইটগুলো দেখা যায় না।তিনি আরো জানান, স্বাধীনতার প্রাক্কালে মসজিদটি ভেঙ্গে পড়ার  উপক্রম হলে স্থানীয় একজন সমাজ হিতৈষীর প্রচেস্টায় এ মসজিদটি সংস্কার করা হয়। মসজিদটির মূল ভবনের সাথে সামনে বারান্দার অংশ বর্ধিত করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার এ মসজিদটি প্রত্নতত্ত বিভাগের আওতায়  নিয়ে আসে এবং সরকার থেকে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয় মসজিদটির সংস্কার করার জন্য। বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী এই পাকা মসজিদটিতে প্রতিনিয়ত মুসল্লিরা নামাজ আদায় করছেন।

 

যাযাদি/এসএইচ