চরফ্যাসন উপজেলার দুলারহাট থানার চর যমুনা গ্রামে একটি স্কুলের ৮ম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে ওই গ্রামের হাফেজউল্লাহ বাহার ও তার ২ ছেলে মোঃ শাহীন এবং শামীমকে আসামি করে দুলারহাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতার মা।
এজাহারে বাদীনী দাবী করেন, তার কন্যা ঘটনারদিন সকালে স্কুলের এস্যাইনমেন্ট জমা দিয়ে বাড়ী ফেরার পথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশানো রুমাল দিয়ে মুখ ছেপে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে শাহীন।
পরবর্তীতে ওই ছাত্রীকে অনেক খোঁজা খুজির পর লোকমুখে জানাতে পারেন মেয়ে ইউপির মহিলা মেম্বারের বাড়ীতে। তখন বাদীনী মহিলা পুলিশের সহযোগীতা ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে।
তার দাবী মেয়েকে চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেয়নি ধর্ষকের বাবা ও ভাই।
তবে ধর্ষকের বাবা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং বিয়ের আশ্বাসের কারনে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।
দুলারহাট থানার ওসি মুরাদ হোসেন জানান, ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে প্রায় ১ মাস পর বাবা ও ছোট ভাইসহ ৩ জনকে আসামী ধর্ষনের মামলা দায়ের করেছেন।
নির্যাতিতার দাবী ধর্ষকের বাবা, ভাই তার (শাহীনের) সাথে বিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপন করেছেন। এজন্যই মামলা করতে দেরী হয়েছে।
এদিকে এ মামলা দায়ের পর থেকে ধর্ষক শাহীনের পরিবারের কোন সদস্যই বাড়ীতে নেই।
যাযাদি/এস