শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাওনা টাকা চাওয়ায় ধর্ষণ মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর
  ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ২০:৪২

মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পূর্ব রঘুরামপুর গ্রামের কালিতলা এলাকায় বাড়ি করার জন্য ১৫ লাখ টাকার ইট, বালু, সিমেন্ট বাকিতে দিয়ে পাওনা টাকা চাওয়ায় ধর্ষণ মামলার আসামি হলেন এক নির্মাণসামগ্রী ব্যবসায়ী।

রোববার বিকালে মাদারীপুর সাংবাদিক সংগঠন মৈত্রী মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন ‘মেসার্স আমেনা এন্টারপ্রাইজ’ মালিক দ্বীন ইসলাম।

দ্বীন ইসলাম মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পূর্ব রঘুরামপুর গ্রামের কালিতলা বাজারের মৃত চান মিয়া রাঢ়ীর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে মেসার্স আমেনা এন্টারপ্রাইজের মালিক দ্বীন ইসলাম লিখিতভাবে জানান, ‘আমার একমাত্র নির্মাণসামগ্রী বিক্রয় প্রতিষ্ঠান আমেনা এন্টারপ্রাইজ থেকে রড, ইট, বালু ও সিমেন্ট নিয়ে সদর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের আব্বাস মোল্লার স্ত্রী এবং তার কন্যা বাড়িতে বিল্ডিং নির্মাণ করেন। আব্বাস মোল্লা ও দুই পুত্র সৌদি আরব এবং জামাতা সিঙ্গাপুর থাকে। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর নাম দিয়ে ১৫ লাখ টাকার মালামাল নেয়। টাকা পরিশোধ করার জন্য বার বার বলার পর রাশিদা বেগম গত বছরের ৬ জুলাই মাসে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। আমি উক্ত চেক নগদায়ন করার জন্য গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর তারিখে চেক জমা দিলে একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকায় চেক ডিজঅনার করে। পরে আমি রাশিদা বেগমকে জানালে তিনি বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ করে দেব। কিন্ত টাকা পরিশোধ না করায় আমি আমার প্রাপ্ত পাওনা টাকা চেয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর উকিল নোটিশ পাঠাই। সবশেষে আমি রাশিদা বেগমের বিরুদ্ধে গত বছরের ৮ নভেম্বর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাওনা টাকা প্রাপ্তির লক্ষ্যে মামলা দায়ের করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাশিদা বেগম তার মেয়েকে দিয়ে উল্টো আমার নামে গত ১৩ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।’

তিনি আর বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে এই ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। পরবর্তীতে আমি ১৫ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নিয়ে এলে রাশিদা বেগম আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে চলতি মাসের ১৩ জানুয়ারি কয়েকটি মিডিয়ায় ‘প্রবাসীর স্ত্রীর গোসলের দৃশ্যধারণ করে ব্লাকমেইল করার অভিযোগ’ এই শিরোনামে সংবাদ প্রচার করান। কিন্তু এই ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তাছাড়া মিথ্যা ধর্ষণ মামলার মেডিকেল রিপোর্টে নেগেটিভ আসে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে