শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ ফজিলাতুননেছা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বই পেল

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  ২০ জানুয়ারি ২০২১, ২০:৪১

অবশেষে কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায় জাতীয়করণ ঘোষণাকৃত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত শেখ ফজিলাতুননেছা সরকারি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা নতুন বই পেয়েছে।

প্রথম দিন ১ম থেকে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে এই বই বিতরণ করা হয়। বুধবার দুপুরে মাদ্রাসা মাঠে এসব বই বিতরণ করা হয়।

বই বিতরণ করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হাই, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস ছালাম, উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার রিয়াজুল ইসলাম, ফুলবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, ফুলবাড়ী থানার এসআই এনামুল হক, শেখ ফজিলাতুননেছা সরকারি দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ¦ আব্দুর রহমান, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার আমিনুল ইসলাম, মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সহকারী শরিফুল আলম, অফিস সহায়ক আব্দুল হাকীমসহ আরও অনেকে।

নতুন বই পেয়ে শেখ ফজিলাতুননেছা সরকারি দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রোকসানা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আমরা ছিটমহলের শিক্ষার্থী আগে লেখাপড়া করতে পারিনি। ছিটমহল বাংলাদেশ হওয়ায় আমরা এখন বাংলাদেশের বাসিন্দা। নতুন বই পেলাম এখন ভালো করে লেখাপড়া করতে পারব।

অপর শিক্ষার্থী মারুফা জানায়, আমরা ছিটমহল থেকে আজ বাংলাদেশি নাগরিক হয়েছি। বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া বিনামূল্যে বই পেয়ে আমাদের খুব আনন্দ লাগছে। লেখাপড়া শিখে এখন আমরা মানুষের মতো মানুষ হতে পারব।

জানা গেছে, নতুন বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিন সারাদেশে বই বিতরণ করা হলেও বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর ছেলেমেয়েদের শিক্ষার অলো ছড়ানো শেখ ফজিলাতুননেছা সরকারি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা নতুন বই বঞ্চিত হয়।

মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট আমিনুল ইসলাম বলেন, শেখ ফজিলাতুননেছা সরকারি দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার শাহানুর আলম ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ও ১৪/১/২০২০ খ্রি. প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক জাতীয়করণ ঘোষিত মাদ্রাসাকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় তারই ষড়যন্ত্রে আমার এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এবতেদায়ি ও দাখিল শাখার ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী নতুন বই বঞ্চিত থাকে। সহসুপার শাহানুর আলম ২৫/১২/২০২০ খ্রি. সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কৌশলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পুরাতন বই সংগ্রহ করে নেয়। যা শিক্ষার্থীদের নতুন বই বঞ্চিত করার একটি অপকৌশল ছিল।

এ ঘটনায় আমি ফুলবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করি। মাধ্যমিক স্যার আমারসহ আমার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র দেখতে চেয়েছেন আমি তা জমা দিয়েছি। তিনি আমাকে বই দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন থেকে একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে বুধবার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বই বিতরণের উদ্যোগ নেওয়ায় আমি উপজেলা প্রশাসনসহ বই বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী কমিটিকে জানাই অভিনন্দন।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে