শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০৯১ জনের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল হস্তান্তর

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:৫৭

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে আশ্রয়ন প্রকল্প-২-এর উদ্বোধন করছেন।

শনিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে তিনি প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়ার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নয় উপজেলার ১ হাজার ৯১ জন উপকারভোগির মধ্যে সংশ্লিষ্টরা এসব বাড়ির দলিল বুঝিয়ে দেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১ হাজার ৯১টি ঘরে মধ্যে সদর উপজেলায় ৩২টি, বিজয়নগরে ১০০টি, সরাইলে ১০২টি, নবীনগরে ৪৮৫টি, নাসিরনগরে ৯১টি, বাঞ্ছারামপুরে ৬৪টি, আশুগঞ্জে ৬৮টি, কসবায় ১০৪টি ও আখাউড়া উপজেলায় ৪৫টি ঘর।

আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম ভূইয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ আলম প্রমুখ।

সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এ.বি.এম মশিউজ্জামান প্রমুখ।

প্রতিটি ভূমিহীন পরিবারকে ২ শতক সরকারি জমির উপর ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষ, একটি পাকঘর, একটি ওয়াশরুম ও একটি বারান্দা বিশিষ্ট আধা পাকা ঘর দেয়া হয়। প্রতিটি ঘরের আয়তন ৩৯৪ বর্গফুট।

ভিক্ষুক, স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা, রিকসা চালক, ফেরিওয়ালা, অটোরিকশা/ভ্যান চালক, নৈশ প্রহরি, জেলে, চায়ের দোকানি, দিনমজুর, কাঠমিস্ত্রী, গৃহকর্মী, ইমামসহ বিভিন্ন ধরনের ভূমি ও গৃহহীনরা পেয়েছেন সরকারি এই ঘর।

নিজেকে ভিক্ষুক পরিচয় দেয়া আখাউড়ার উপকারভোগী মাজেদা বেগম বলেন, আমি মুহুরির মেয়ে। ভালোই ছিলাম। স্বামী মারা যাওয়ার পর আমার সব শেষ। দুই মেয়ে ও এক ছেলে কেউ আমার খোঁজ-খবর রাখেনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার খবর রেখেছেন। আমাকে মাথা গোঁজার ঠাই ঘর দিয়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।

একই উপজেলার বৃদ্ধ আইয়ূব আলী বলেন, আমি অচল। মেয়ে বিয়ে দিয়েও শান্তি নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে একটি ঘর দিয়েছেন। মহান আল্লাহতায়ালার কাছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রাণভরে দোয়া করি।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে