বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ আধুনিক বাংলা কাব্যের রুপকার অমিত্রাক্ষর ছন্দের জনক ও সনেট প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৭তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে কবির আবক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বিকেলে যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কেশবপুরের সাগরদাঁড়ির মধুমঞ্চে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন, কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জসীম উদ্দীন, আবু শারাফ সাদেক কারিগরি কলেজের প্রভাষক কানাইলাল ভট্টাচার্য, মধুসূদন একাডেমির পরিচালক এবং কবি ও মধু গবেষক খসরু পারভেজ, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মহাকবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও স্থানীয় সরকার বিভাগ যশোরের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত।
মধুমঞ্চে অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মহাকবির আবক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। যশোর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগ যশোরের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত মহাকবির আবক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে একে একে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন কেশবপুর উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, কেশবপুর প্রেসক্লাব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, লোকজ একাডেমি, চারুপীঠ আর্ট স্কুলসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা শেষে মধুমঞ্চে আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এবার কবির জন্মভূমি কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলার আয়োজন করা হয়নি বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন জানিয়েছেন।
যাযাদি/ এস