শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে ৩য় দফায় শৈত্যপ্রবাহে, মানুষ চরম দূর্ভোগে

রাজারহাট(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:৩৩

কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্য প্রবাহে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০দশমিক ৪ডিগ্রী সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারদিক। গত ৩দিন ধরে বিকাল থেকে পরদিন দুপুর ২টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকলেও ২৬জানুয়ারী মঙ্গলবার সারাদিনেও সুর্যের মুখ দেখা যায়নি। কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার পাশাপাশি শীতবৃষ্টি পড়ে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও গাড়ীর হেড লাইট জ্বালিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে চালকদের। উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছে।

বিশেষ করে গরম কাপড়ের অভাবে চরম শীত কষ্টে ভুগছে জেলার প্রায় ২শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষসহ দরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে সময়মত কাজে বের হতে পারছে না অনেক শ্রমিক। ফলে চলতি ইরি-বোরো চারা রোপন কার্যক্রমও থমকে গেছে। ঠান্ডার বস্ত্র পরিধান করেও গরম অনুভূত না হওয়ায় কেউ কেউ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে। ফলে অধিক ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে-এমন পরিস্থিতিতে তিস্তা, ধরলা ব্রক্ষপুত্র, দুধকুমরসহ প্রায় ২শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষ এবং দিন এনে দিন খাওয়া শ্রমজীবী ও কৃষিজীবী মানুষেরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে। শুধু মানুষ নয়, গবাদী পশু-পাখি ও প্রাণিরাও ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়ছে। তাই অনেকে ঠান্ডা নিবারণের জন্য গবাদি পশুর গাঁয়ে তুলে দিয়েছে চটের বস্তা এবং পুরাতন কাপড়।

২৬জানুয়ারী মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলার হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত তিনদিন ধরে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার জানান, ২৬জানুয়ারী মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০দশমিক ৪ডিগ্রী সেলসিয়াস। আরও কমপক্ষে ৭২ঘন্টায় ঘন কুয়াশাসহ তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকতে পারে।

যাযাদি/এসএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে