বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে নিরাপদ হেফজতী কেন্দ্রে নারীর আত্মহত্যা

গাজীপুর প্রতিনিধি
  ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ২০:২৭

গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন ভোগড়া এলাকায় অবস্থিত মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতীদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রের এক নারীর গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

নিহত নাজমা আক্তার (২০), ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার মুসুল্লী উত্তর কোনাপাড়া এলাকার মো. হারেছ মিয়ার মেয়ে।

বাসন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মিজানুর রহমান আবাসন কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানান, নাজমা আবাসন কেন্দ্রের দোতলার ৩০৩ নম্বর কক্ষের নিবাসী ছিলেন।

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রে হেফাজতে থাকা সকল নিবাসীকে প্রতিদিনের মতো নিচে নামানো হয়। কিন্তু মাথা ব্যথার কথা বলে নাজমা অন্য নিবাসীদের সঙ্গে এদিন আর নিচে নামেননি। পরে দুপুর ১টা ১০মিনিটের দিকে সবাইকে আবার উপরে পাঠানো হয়। পরে অন্য নিবাসীরা সেখানে গিয়ে ৩০৩ নম্বর রুমে টয়লেটের দরজার সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। ঘটনাটি তারা কেন্দ্রে কর্তব্যরতদের জানালে লাশ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতীদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রের তত্বাবধায়ক মরিয়ম খানম বলেন, নাজমাকে গত ২২ডিসেম্বর গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী থানাধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালিকা) হইতে ঢাকা শাহ আলী থানার মামলার ভিকটিম হিসেবে এ কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তার হেফাজতী সিরিয়াল নং-১২২৯।

মঙ্গলবার সকালে রোদ পোহানো এব কেন্দ্রের ভেতরে হাটাহাটি করানোর জন্য নিবাসীদের নিচে নামানো হয়। কিন্তু নাজমা এদিন নিচে নামেননি। পরে দুপুর সোয়া ১টার দিকে সকলকে উপরে পাঠানো হলে তারা আবাসন কেন্দ্রের দোতলার ৩০৩ নম্বর কক্ষের টয়লেটে গলায় ওড়না প্যাচানো অবস্থায় নাজমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে