চট্টগ্রামে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ-গোলাগুলি

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ১০:২৯

যাযাদি ডেস্ক

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচন আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে। নির্বাচন শুরু হওয়ার পর সাড়ে আটটার দিকে নগরীর ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের আসাদগঞ্জ ছোবাহানীয়া আলীয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন আহত হয়েছে। এ সময় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনায় ঘটে। এতে দু’জন আহত হয়। তবে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলছেন, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি সকাল থেকে ভালো।

 

এদিকে সকাল ৮টায় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর সকাল পৌনে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের এখলাছুর রহমান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। পরে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের রায়ে বিশ্বাস করি, আস্থা রাখি। সুন্দর পরিবেশে ভোট হচ্ছে।’

 

নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি মেয়র পদে কোনও প্রার্থী দেয়নি। পাশাপাশি কোনও প্রার্থীকে সমর্থনও দেয়নি দলটি।

 

সবকটি কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে ৭৩৫ ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের মধ্যে নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন এবং পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন।

 

নির্বাচনে মেয়র পদে সাত জন প্রার্থী লড়ছেন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপির শাহাদাত হোসেনের মধ্যে। দুজনই প্রথমবারের মতো মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭২ জন এবং সংরক্ষিত (নারী) কাউন্সিলর পদে ৫৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার হাসানুজ্জামান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই, ভোটকেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন। আশা করছি, ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনও ধরনের অসুবিধা হবে না। সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে পুরো নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

 

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার বলেন, পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি মহানগরীতে মাঠে রয়েছে ২৫ প্লাটুন বিজিবি। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশনায় বিজিবির সদস্যরা মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। ২৫ প্লাটুনের মধ্যে ২২ প্লাটুন দায়িত্ব পালন করছে সিটি করপোরেশন এলাকায়। আর ৩ প্লাটুন রয়েছে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। প্রতি প্লাটুনে ১৬ জন করে বিজিবি সদস্য রয়েছেন।

 

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন মহানগর পুলিশের ৯ হাজার সদস্য। একই সঙ্গে পুলিশের বিশেষায়িত টিম সোয়াত, র‌্যাব এবং কাউন্টার টেরেরিজম ইউনিটের সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন।

 

যাযাদি/ এমএস