টাঙ্গাইলে টিকা প্রয়োগ শুরু ॥ প্রথম টিকা নিলেন ডিসি

টাঙ্গাইল জেলার ৪২টি কেন্দ্রে নিবন্ধিত ব্যক্তিদের মাঝে করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু করা হয়েছে। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি প্রথম টিকা নেন। এরপর পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় করোনার টিকা নেন।

এ সময় টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ড. মো. আলাউদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সদর উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, জেলার মোট ৪২টি কেন্দ্রে নিবন্ধিত ব্যক্তিদের শরীরে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ৯টি কেন্দ্র ও বাকি ১১টি উপজেলার প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩টি করে বুথ স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি বুথে ২ জন করে টিকাদানকর্মী ও ৪জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছে।

তিনি জানান, জেলায় এক লাখ ২০ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন মজুদ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে নিবন্ধিত ব্যক্তিদের শরীরে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।

টাঙ্গাইলে প্রথম টিকা গ্রহন করে জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় দেশে টিকা এসেছে।  জেলায় আমি প্রথমে টিকা নিতে পেরে আনন্দিত। আজ থেকে আমি সুরক্ষিত। আমি চাই, টাঙ্গাইলে যারা টিকা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তারা পর্যায়ক্রমে টিকা গ্রহণ করবেন।

এদিকে, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসেও করোনা ভাইরাসের টিকা প্রয়োগের কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার সকালে ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে ওই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান। এ সময় লেফটেনেন্ট কর্নেল আক্তার হাসিব দেওয়ান, ওয়ারেণ্ট অফিসার রফিকুল ইসলাম ও নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুল লতিফ প্রথম পর্যায়ে টিকা গ্রহন করেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঘাটাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লেবু, পৌরসভার মেয়র শহীদুজ্জামান খান শহিদ সহ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ।

যাযাদি