ধামরাইয়ে পাওনা টাকা আনতে গিয়ে লাশ হলেন ব্যবসায়ী আজাদ

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২১:২২

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার ধামরাইয়ে মায়ের বানানো পিঠা খাওয়া হলো না আজাদের। সাভারের নয়ারহাটে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন আজাদ বিশ্বাস (২৭)। সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় আজাদ মাকে বলে গিয়েছিল পাওনা টাকা আদায় করে বাড়ি এসে তোমার হাতের পিঠা খাবো। কিন্তু তা আর হলো না আজাদের।

 

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের বাথুলি বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশ থেকে ক্ষতবিক্ষত আজাদের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর লাশ মহাসড়কের পাশে ফেলে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে পুলিশ বলছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে না সে গাড়ির চাপায় মারা গেছে তা লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

 

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ধামরাইয়ের কিশোরিনগর গ্রামের বাবুল বিশ্বাসের ছেলে আজাদ বিশ্বাস (২৮) বাথুলি কেবিসি কারখানায় চাকরির পাশাপাশি ধানের কুড়া ও ভোজ্যতেলের ব্যবসা করতেন। মাস তিন আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ধামরাইয়ের কেবিসি ও গাজীপুরের বিভিন্ন কারখানায় ধানের কুড়া সরবরাহ করতো। আর এ ব্যবসা করার জন্য বাবুল বিশ্বাস কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ তুলে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা দিয়েছিলেন ছেলে আজাদকে। গত সোমবার বিকেলে আসরের নামাজ পড়ে নিজ বাড়ি থেকে আজাদ পাওনা টাকা আনার জন্য সাভারের নয়ারহাট যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তবে কার কাছে টাকা পান তা বলে যায়নি।

 

বাবুল বিশ্বাস জানান, রাত পৌনে ৯টার মধ্যে ছেলের সঙ্গে মোবাইলে আমার কয়েক দফায় কথা হয়েছে। সব শেষে রাত পৌনে ৯টায় আজাদ আমাকে বলেছে, টাকা দেই দিচ্ছি করে আমাকে ঘুরাচ্ছে। আমি বেশি কথা বলতে পারছি না, বিপদে আছি, আমাকে নয়ারহাট থেকে ধামরাই নিয়ে যাচ্ছে। এ কথা বলার পর আর মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি আজাদ। এরপর মঙ্গলবার সকালেই খবর পান ধামরাইয়ের বাথুলি বাসস্ট্যান্ডের পাশে ছেলের ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে আছে। তবে পরিবারের দাবি, যাদের কাছে টাকা পাবে তারাই আজাদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ সড়কের পাশে ফেলে রেখে গেছে।

 

এ ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে অজ্ঞাত কোন গাড়ির চাপায় মারা গেছে আজাদ বিশ্বাস। তবে কেউ যদি তাকে হত্যা করে থাকে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

 

যাযাদি/ এস