​বিজিবির কাছেই থাকছে সেই নীলগাই

প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২১:১০

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

 

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে ছুটোছুটি করার সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হওয়া নীলগাইটি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বিজিবির কাছেই থাকছে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে বিজিবি,উপজেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগসহ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নীল গাইটিকে কেবল পথচারীরা বেঁধে রাখেননি, সময়মত বিজিবি সদস্যরা না এলে এটিকে জবাই করে মাংস ভক্ষন করা হতো। জবাই করার উদ্যোগও নেয়া হয়েছিলো বলেই নীল গাইটিকে বাঁচাতে গলায় ১৭টি শেলাই লেগেছে বলে প্রাণীসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে।

 

 বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বিজিবির পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে সীমান্তে ছুটোছুটি করার সময় ধাওয়া করে নাগর নদীর তীর এলাকায় বিরল প্রজাতির এই নীল গাইটি আটক করেন স্থানীয়রা। স্থানীয় সাংবাদিক আল মামুন জীবন জানিয়েছেন, আটক করার পরে মাংস খাওয়ার জন্য জবাই করার চেষ্টা করেন স্থানীয়রা তবে নিকটবর্তী কান্তিভিটা ক্যাম্পের  বিজিবি, পাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান  এর সময়মত হস্তক্ষেপে  বেঁচে যায় বিরল প্রজাতির প্রাণীটি। তাঁরা প্রাণীটির গুরুত্ব বুঝিয়ে সেটিকে বাঁচিয়ে কান্তিভিটা বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাণীটির চিকিৎসা নেয়া হয় এবং গলায় ১৭ টি সেলাই দিতে হয়। এসব তথ্য জানান, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. নিয়ামুল শাহাদাৎ ।

 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. নিয়ামুল শাহাদাৎ বলেন, ভারতীয় উপকুল অঞ্চল থেকে সীমান্ত দিয়ে আসা নীলগাইটি স্থানীয়রা নাগর নদীর তোরে আটক করে। আটকের পর নীলগাইটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিজিবি আমাদের খবর দেয়। পরে নীলগাইটির গলায় ১৭টি সেলাই প্রদানসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

 

ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহান শাহ আকন্দ জানান, নীলগাইটি নিয়ে যাওয়ার জন্য ক্যাম্পে গিয়েছিলাম। বিজিবি তাদের হেফাজতে রেখে নীলগাইটিকে সুস্থ করতে চায়, আমরাও সে ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছি।

 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাসিরুল ইসলাম জানান, গাইটিকে রংপুর চিড়িয়াখানায় পাঠানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। তারা সম্মতি দিয়েছে। বন বিভাগ না নিলে নীলগাইটিকে রংপুর চিড়িয়াখানায় রাখার ব্যবস্থা করা হবে।

 

বিজিবি ঠাকুরগাঁও ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শহিদুল ইসলাম জানান, নীলগাইটি আমাদের কাছে থাকবে। আমরা সুস্থ করতে জোর চেষ্টা করছি। সুস্থ হলেই বন বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

 

যাযাদি/ এস