ফুলপুরে শতবর্ষের ভিটা থেকে বৃদ্ধকে উচ্ছেদের অভিযোগ

প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০২১, ১৩:৩৭

ফুলপুর প্রতিনিধি

 

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামে শতবছরের বসতবাড়ি থেকে এক অসহায় বৃদ্ধকে উচ্ছেদের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ে সোমবার (১ মার্চ) হযরত আলী (৭০) নামে এ অভিযোগ দায়ের করেন।

 

জানা যায়, শিমুলিয়া গ্রামের হযরত আলীর বাবা মৃত আবেদ আলী একই গ্রামের মৃত রহমত উল্লার বাড়িতে কাজ করতেন। নিজের কোন জমি না থাকায় ৮ শতাংশ জমির উপর বাড়ি নির্মাণ করে থাকার অনুমোদন দেন বাড়ির মালিক। রহমত আলীর মৃত্যুর পর হয়রত আলী দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। হযরত আলী প্রায় ৭০ বছর ধরে বসবাস করার পর কোন প্রকার কারণ ছাড়ায় বসতভিটা ছাড়ার জন্য হুমকি দেন জমির মালিক রহমত আলীর ছেলে সামাদ নূর মিয়া। বর্তমানে ছোট একটি খুপরি ঘড়ে কোন রকম দিনরাত পার করছেন। বাড়ির মধ্যে থাকা ল্যাট্রিন বন্ধ করে দেন এবং আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেন বেশ কয়েকটি গাছ। নানান রোগে আক্রান্ত হযরত আলী স্থানীয়দের সহায়তায় নিজ বসত ভিটাতে থাকার জন্য সংগ্রাম করেও টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছে না।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিমুলিয়া গ্রামের অসহায় হযরত আলীর বিলাপ। ছোট একটি খুপরি ঘর যা পলিথিনে  মোড়ানো। টাকার অভাবে ছানি দিতে পারছেন না। দুই ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে তার সংসার। বড় ছেলে আজিজুল বালিয়া মাদরাসায় দাওরায়ে হাদিস ও ফাজিল ক্লাশে অধ্যায়নরত। ছোট ছেলে সিরাজুল স্থানীয় ইটভাটায় কাজ করে। খেয়ে না খেয়ে থাকতে থাকতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় কাতরাচ্ছেন তিনি। এমন অবস্থায় বসতভিটা ছাড়ার জন্য হুমকি।

 

বৃদ্ধ হযরত আলী বলেন, ‘বাড়ির মূলমালিক জমি দেন আমাকে এহন তার পোলারা নিবার গা চা। এইড্যা কেমন কথা আমি মরে গেলেও বাড়ি থেকে বের হইবো না।’

 

এ বিষয়ে জমির মালিক সামাদ নূর মিয়া বলেন, ‘জমিটিতে নেকবর আলী নামের এক ব্যাক্তি থাকতেন। সে মরে যাওয়ার পর ছেলে ইসলাম বাড়ি থেকে সিলেট চলে যায়। তার মামা হযরত আলী দখল করে থাকতে থাকেন। এক পর্যায়ে নিজেকে মালিকানা দাবি করেন এ বসতভিটার। প্রকৃত পক্ষে ইসলাম হচ্ছে এ জমির দাবিদার। হযরত আলী আমার জমিতে বসবাস করে আমার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও দায়ের করেন।’

 

যাযাদি/এসএইচ