সিংগাইরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিরুকে কুপিয়ে হত্যা

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন ওরফে মিরুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে  সোমবার দিবাগত রাতে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিকস (পঙ্গু) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু  ঘটে।

জানা গেছে, সিংগাইর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোল্লা  মোহাম্মদ দুলাল ও ফারুক হোসেনে মিরুর মধ্যে আধিপত্য নিয়ে অভ্যন্তরীণ  কোন্দল চলে আসছে। এই কোন্দলের জের ধরে মোল্লা মোহাম্মদ দুলাল ও তার বড় ভাই উপজেলা পরিবহণ শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন ও তাদের সহযোগীরা ফারুক হোসেন মিরুকে কুপিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় এবং দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক মাস আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোল্লা মোহাম্মদ দুলাল ও তাঁর সহযোগীরা ফারুক হোসেন মিরুকে মারধর করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কোন্দল দেখা দেয়।

সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার জয়মন্টপ এলাকায় একটি গানের অনুষ্ঠান  থেকে  মোটরসাইকেলযোগে উপজেলা সদরে বাড়িতে ফিরছিলেন ছাত্রলীগ  নেতা ফারুক  হোসেন মিরু। রাত একটার দিকে সিঙ্গাইর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে প্রতিপক্ষের দুলাল ও তার ভাই জালাল মোটরসাইকেলে গতিরোধ করেন। এরপর তারা ফারুক হোসেন মিরুকে ধারালো অস্ত্র (চাইনিজ কুড়াল) দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।

পরে ছাত্রলীগের নেতা গুরুতর আহত অবস্থায় ফারুক হোসেন মিরুকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিকস (পঙ্গু) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে  দুপুর একটার দিকে তিনি মারা যান।

সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে দুলাল ও জালাল চায়নিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে সিংগাইর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন ওরফে মিরুকে হত্যা করে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, কিলিং মিশনে দুটি সিএনজিতে থাকা পৃথক ছয়জন অংশ নেয়। খুনের মোটিভ নিশ্চিত হলেও এখনো কেউ মামলা করেনি। এছাড়া খুনের ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

যাযাদি/ এস