শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেহেরপুরে বাম্পার ফলনের আশায় আম বাগান মালিকরা

মেহেরপুর প্রতিনিধি
  ০৪ মার্চ ২০২১, ১২:২৬

অনুকুল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যার কারনে এ বছর আমের বাগানে ব্যাপক মুকুল এসেছে। বাগান মালিকরা বেজায় খুশি। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভাল ফলন পাবার প্রত্যাশা করছেন তারা। এখন হপার পোকার সংক্রমণ রোধ ও আমের গুটি যেন ঝরে না যায় সে লক্ষে গাছের পরিচর্যায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষক। আম পাড়ার ভরা মৌসুমে কাংখিত দাম ও একটি কাঁচামাল সংরক্ষাণাগারের দাবি চাষিদের।

মেহেরপুর জেলায় উৎপাদিত আমের মধ্যে হিমসাগর, বোম্বাই, ল্যাংড়া, আম্রপালি. প্রসিদ্ধ। ফড়িয়ারা এখানকার উৎপাদিত আম কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকে। এ বছর শীতের প্রকোপ তেমন হয়নি। এখনই রোদ্রের তাপ বেড়ে গেছে। আবহাওয়ার বৈরীতায় শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখি ঝড় হলে আমের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। তবে এবার যেভাবে মুকুল এসেছে তাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন আম বাগান মালিক ও ব্যাবসায়ীরা। ভাল ফলন নিশ্চিত করতে হপার পোকার সংক্রমণ রোধ ও আমের গুটি যেন ঝরে না যায় সে লক্ষে গাছের পরিচর্যায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষক। কৃষি ভিভাগের হিসেব মতে এবার মেহেরপুর জেলায় ২হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে।

চাষীরা যায়যায়দিনকে জানান, মেহেরপুর জেলার আম খেতে খুবই স্বসাধু। বিগত দশ বছরের থেকে এবার বেশি মুকুল এসেছে গাছে। আশা বম্পার ফলনের। চাষীদের দাবী সরকারের অনান্য চাষে ভূর্তুকির মতো আম চাষীদের যেনো ভর্তুকি দেয়। তাহলে আম চাষে এই জেলায় সুস্বাদু আম চাষে বিপ্লব ঘটবে। এছাড়াও আম পাড়ার ভরা মৌসুমে আমের দাম কমে যায়। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের নিকট একটি কাঁচামাল সংরক্ষাণাগার স্থাপনের দাবি বাগান মালিকদের।

জেলা কুষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ স্বপর কুমার খাঁ যায়যায়দিনকে জানান, জেলায় এবার আম বাগানগুলিতে ব্যপক মুকুল এসছে। আমের ফলন যাতে ভাল হয় তার জন্য প্রতিনিয়ত সঠিক পরিচর্যা ও পোকামাকড় দমনে বালাইনাশক প্রযোগ করার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীরা।

যাযাদি/এসএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে