সুবর্ণচরে মদ দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন

প্রকাশ | ০৫ মার্চ ২০২১, ১৮:১৫

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে সাড়ে ৩ লিটার মদ দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে জামশেদ  উদ্দিন সোহাগ (৩৮) নামে এক যুবক নিজেই ফেঁসে গেছেন।

 

শুক্রবার রাতে উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের ছমিরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ সোহাগকে রাতেই আটক করে।

 

আটককৃত জামশেদ উদ্দিন সোহাগ একই ইউনিয়নের একই গ্রামের ইসমাইল হাজী বাড়ির মৃত সাহাব উদ্দিন এর ছেলে। সে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসের চালক।

 

জানা যায় , উপজেলার চরআমান উল্যাহ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের নয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের (৩৫) সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে সোহাগদের। এ মামলার জের ধরে গতকাল রাত ১০টার দিকে তার প্রতিপক্ষ জহিরুল ইসলাম যখন ছমিরহাট বাজারে এসে সেলিম সওদাগরের দোকানের সামনে তার মটরসাইকেল রেখে রহমান ট্রেডার্স থেকে মালামাল ক্রয় করে তার মোটরসাইকেলের কাছে আসতেই সোহাগ তাকে মারধর শুরু করে এবং বলে তোমার কাছে মদ আছে। মারধর করে পরে তাকে বাজারে একটা ঘরে আটক করে রেখে সোহাগ থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে সোহাগ সাড়ে তিন লি: সোলাই মদ দিয়ে বলে এগুলো জহিরুলের কাছে পেয়েছি।

 

এ দিকে পুলিশ তাৎক্ষনিক তদন্ত করে প্রাথমিক ভাবে সাজানো বলে মনে করায় অভিযোগকারী জামশেদ উদ্দিন সোহাগ ও জহিরুল ইসলামকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ রাতে ও সকালে অধিকতর তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে, যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোহাগ, জহিরুলকে মাদকের মামলায় ফাঁসিয়ে দিতে এ পরিকল্পনা করে।

 

স্থানীয়রা জানায়, জহিরুল ইসলাম কামাল বাজারের একজন মুদি ব্যবসায়ী। সে কোন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে যুক্তনয়। এ ঘটনায় জহিরুল ইসলামকে সোহাগ ফাঁসিয়েছে বলে গ্রামের লোকজন প্রতিবাদ করায় সোহাগ মাদক দিয়ে জহিরুলকে ফাঁসাতে পারেনি।

 

ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম জানায়, জামশেদ উদ্দিন সোহাগদের সাথে আমার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। সে ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে আমাকে মাদকের মতো জঘন্য মামলায় ফাঁসিয়ে আমাকে সামাজিক ভাবে খাটো করার চেষ্টা করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।

 

চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জিয়াউল হক জানান, জামশেদ উদ্দিন সোহাগ সোলাই মদ দিয়ে একজন ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু পুলিশের অপরাধ দমন কৌশল ও তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত আসামীকে ধরা  হয়েছে। নিরাপরাধ ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এস আই নুর ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছ। আসামি জামশেদ উদ্দিন সোহাগকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

যাযাদি/ এমডি