বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নবীগঞ্জে ড্যান্ডি নেশায় ঝুকঁছে টোকাই শিশুরা

এটিএম সালাম, নবীগঞ্জ
  ০৮ মার্চ ২০২১, ১১:৫৫

নবীগঞ্জে ড্যান্ডি নেশায় ঝুকছেঁ টোকাই শিশু-কিশোররা। নিন্মবিত্ত পরিবারের এসব শিশু, কিশোর, কিশোরীরা জুতায় ব্যবহারের আঠা পলিথিনে নিয়ে নেশায় আসক্ত হচ্ছে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বিকেলে এবং রাতে তাদের বিচরণ দেখা যায়। এতে বাড়ছে অপরাধ প্রবনতাও। তবে মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের নিকট তাদের সঠিক কোন পরিসংখ্যানও নেই। আবার এ বিষয়ে দায়িত্বশীল সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ড্যান্ডি নেশা সম্পর্কে জানেনই না। পরিসংখ্যানতো নেইই। কিশোর অপরাধীরও সঠিক কোন পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই।

এদিকে বিভিন্ন সময় আইনশৃংখলা বাহিনী অভিযান চালালেও তাদের আটকও করা যাচ্ছেনা। এছাড়া কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় ওই সব টোকাই শিশু, কিশোরদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করছে জুতার এই আঠা। কিন্তু বিভিন্ন সময় নবীগঞ্জ শহরের ব্যবসা প্রতিষ্টান গুলোতে এসব আঠা শিশু, কিশোরদের নিকট বিক্রি না করতে বললেও তা মানা হচ্ছেনা। ওই ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রন করতে পারলে হয়তো বা শিশু, কিশোরদের বিপদগামী পথ থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। ড্যান্ডি নেশায় আক্রান্ত নবীগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা সাজু জানায়, জুতার গাম থেকে এ নেশা তারা তৈরী করে। এটি কি খাচ্ছে তারা জানেনা। এটি খাওয়া ভাল নয়। তবে নেশা করে তারা শান্তি পায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা মাদকদ্রব্য অধিপ্তরের সহকারি পরিচালক মুহাম্মদ খালেদুল করিম জানান, শিশু, কিশোরদের ধরা যাবেনা। তাদের সচেতন করতে হবে। পুণর্বাসন করতে হবে। জুতা ব্যবসায়ীরা নিজেদের প্রয়োজনে আঁঠাটি রাখেন। কিন্তু তারা সেটি আবার এসব শিশু, কিশোরদের নিকট বিক্রি করেন। এ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, তবে এসব শিশু, কিশোরদের পুণর্বাসনের দায়িত্ব সমাজসেবা অধিদপ্তরের।

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, শিশু, কিশোর অপরাধীদের কোন ডাটা তারা তৈরী করেননি। পুলিশ যাদের আটক করে দেয় শুধু তাদের বিষয়েই তারা পদক্ষেপ নেন। ড্যান্ডি নেশা কি দিয়ে হয় তা তার জানা নেই বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব শিশু, কিশোর অপরাধীদের জরিপের মাধ্যমে তালিকা করার তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করা হবে।

সচেতন মহলের দাবি, উপজেলা প্রশাসন কটোরভাবে ওই ব্যবসায়ীদের দমন করতে পারলেই ওই শিশু-কিশোরদের বিপদগামী পথ থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। এছাড়া ওই সব শিশু-কিশোর’রা ড্যান্ডি নেশায় আক্রান্ত হয়ে দিনদিন অপরাধের দিকে ঝুকেঁ পড়ছে। অপ্রাপ্ত বয়স হওয়ায় আইনশৃংখলা বাহিনীও তাদের আটক করতে পারছে না। করলেও পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়।

যাযাদি/এসএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে