দ্রুত ধান কাটতে হাওরতীরে মাইকিং

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৩৬

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

 

হাকালুকি হাওর তীরের কুলাউড়া উপজেলা অংশের বিভিন্ন এলাকায় দ্রুত বোরো ধান কেটে তোলার জন্য প্রতিদিন মাইকিং করা হচ্ছে। বিরূপ আবহাওয়া থেকে বোরো ধান বাঁচাতে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ মাইকিং করানো হচ্ছে।

 

১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ মাইকিং ধান কাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে।

 

জানা যায়, মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর দেশের অন্যতম শীর্ষ শস্যভান্ডার। তবে সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই তলিয়ে যায় হাকালুকি হাওর। উজানে ভারত অংশে বৃষ্টি হলে সেই পানি দ্রুত নেমে আসে হাওরে, যার কারণে প্রায় বছর প্লাবিত হয় এই হাওরের ফসল। তাই বছর বছর বোরো নিয়ে চিন্তিত থাকেন কৃষক এবং কৃষি বিভাগ। এ বছর করোনার সংকটের মধ্যে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে যেন ফসল প্লাবিত না হয় তাই সম্মিলিত চেষ্টা করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ ও কৃষক।

 

হাকালুকি হাওর তীরের সাদিপুর এলাকার বাসিন্দা মো. জামাল মিয়া, আলিম উদ্দিন, গৌড়করনের বাসিন্দা সোহেল আহমদ, সাতির খা, সাইফুল ইসলাম খানসহ অনেকে জানান, হাওরে ধান অনেকটা পেকে গেছে। ভালোভাবে পাকা-পোক্ত হওয়ার জন্য আরও কয়দিন অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু প্রতিরাতের বৃষ্টিতে মনে ভয় জাগে। কখন জানি ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢল নেমে সব কিছু তলীয়ে যায়। এসব নিয়ে যখন অনেকটা দ্বিধাদ্বন্ধে ঠিক তখনি কৃষি বিভাগের মাইকিং শুনে আমরাসহ অনেকেই বোরো ধান কাটতে উৎসাহিত হচ্ছি এবং পাকা-আধপাকা ধান কাটা শুরু করেছি।

 

কুলাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন জানান, আবহাওয়া অফিস সূত্রে জেনেছি সামনের দিনগুলোতে ঘূর্ণিঝড়সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ঝড়-বৃষ্টির কারণে বোরো ধানের ক্ষতি হতে পারে তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুরো ফসল যেন নষ্ট না হয়, সে জন্য ধান কেটে তুলার জন্য মাইকিং চলছে, ধান কাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা চলবে।

 

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন চা-বাগান থেকে ধান কাটা শ্রমিক সংগ্রহের জন্য একটি তালিকা তৈরি করে হাওর তীরের এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে। যাতে কৃষকরা শ্রমিক সংকটে না পড়েন।

 

যাযাদি/ এমডি