শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সালথায় সহিংসতা : উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিমান্ডে

ফরিদপুর প্রতিনিধি
  ২২ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৪৩

ফরিদপুরের সালথায় ৫ এপ্রিল রাতে সহিংসতার ঘটনায় সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামানের (৪০) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফারুক হোসাইন শুনানি শেষে তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সহকারী পুলিশ সুপার সমিনুর রহমান (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) ওয়াহিদুজ্জামানের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাত আটটার দিকে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি এলাকা থেকে ওয়াহিদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে। গত মঙ্গলবার তার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। তবে ওই দিন রিমান্ডের শুনানি হয়নি।

ওয়াহিদুজ্জামান সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামের মৃত আবদুল হাই মোল্লার ছেলে। তিনি ২০১৪ সালে বিএনপির সমর্থন নিয়ে সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট তিনি (ওয়াহিদুজ্জামান) ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা, সালথা) আসনের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

ফরিদপুর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুনিল কর্মকার বলেন, সালথায় সরকারি অফিসে তাণ্ডবের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সাত আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই জবানবন্দিতে ওয়াহিদুজ্জামানের নাম উঠে আসায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া মামলার অন্যান্য আসামিদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সহিংসতার ঘটনায় সালথা থানায় এ পর্যন্ত সাতটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে মোট ৩৬৪ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে আরও চার হাজার ব্যক্তিকে।

এসব মামলায় বুধবার (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত ১০১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৭ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। দুজন আসামি গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্য দুই আসামি গুলিতে নিহত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গুজব ছড়িয়ে ৫ এপ্রিল রাতে সালথা উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালান কয়েক হাজার উত্তেজিত জনতা। এ সময় দুটি সরকারি গাড়ি সহ কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত কমিটি।

যাযাদি/ এমডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে