​ধর্মপাশায় ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা

প্রকাশ | ০৬ মে ২০২১, ২১:১৭

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

 

 

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বিকাশ রঞ্জন সরকার (৫৫) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে বুধবার রাতে উপজেলার পাইকুরাটি গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু দেব পলাশ (৩২) নামে ওই ব্যক্তি বাদী হয়ে ধর্মপাশা সদরের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা বিকাশ রঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে ধর্মপাশা থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের বাসিন্দা ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সুনামগঞ্জ শাখায় কর্মরত ব্যাংক কর্মকর্তা বিকাশ রঞ্জন সরকারের মালিকানাধীন উপজেলার পাইকুরাটি বাজারে ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার পথে একটি চান্দিনা ভিটাসহ তার ৪ শতক জায়গা রয়েছে।

তিনি তার মালিকানাধীন ৪ শতক জায়গা গত প্রায় ৪ মাস আগে ১০ লাখ টাকা মূল্য সাব্যস্ত করে উপজেলার পাইকুরাটি গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু দেব পলাশ নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন। তখন ক্রেতা পিন্টু দেব স্থানীয় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ওই জায়গার বায়না বাবদ জায়গার মালিক বিকাশ রঞ্জন সরকারকে ৩ লাখ টাকা দেন। বাকি ৭ লাখ টাকা এক মাস পর ওই জায়গা দলিল করে দেওয়ার সময় পরিশোধ করার কথা ছিল। এর পর যথাসময়ে জায়গার ক্রেতা পিন্টু দেব পলাশ বাকি ৭ লাখ টাকা সংগ্রহ করে তাকে ওই জায়গা দলিল করে দেওয়ার জন্য জায়গার মালিক বিকাশ রঞ্জন সরকারকে চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু বিকাশ রঞ্জন সরকার তখন থেকেই ওই জায়গার ক্রেতা পিন্টু দেব পলাশকে তিনি দলিল করে দেই দিচ্ছি বলে সময়ক্ষেপণ করে আসছিলেন।

 

আর এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার সালিশি বৈঠক করেও বিষয়টির কোনো ধরনের সমাধান করতে না পারায় অবশেষে নিরুপায় হয়ে জায়গার ক্রেতা পিন্টু দেব পলাশ বুধবার রাতে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্মপাশা থানায় এ প্রতারণার মামলাটি দায়ের করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা বিকাশ রঞ্জন সরকার বলেন, পিন্টু দেব পলাশ একজন দরিদ্র লোক। আমার জানা মতে সে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসার চালায়। সে কি করে ১০ লাখ টাকা দিয়ে আমার জায়গা কিনেছে। বিষয়টি শুনে আমি অবাক হয়ে গেছি। তিনি আরও বলেন, একটি চক্র আমাকে বেকায়দায় ফেলানোর জন্য পিন্টুকে বাদী করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এ মামলাটি করিয়েছে।

 

উপজেলার পাইকুরাটি ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমার উপস্থিতিতে একাধিকবার সালিশি বৈঠক হলেও তা সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

 

ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো, খালেদ চৌধুরী মামলা হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

 

যাযাদি/ এস