ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ

প্রকাশ | ১০ মে ২০২১, ১৪:৫৪

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ফরিদপুর সদর উপজেলা ও পৌরসভার ৪ হাজার মানুষের মাঝে তাদের ঘরে ঘরে  প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পৌঁছে দিতে শুরু করেছে। জেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রমী এ কাজে এগিয়ে এসেছেন পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরবৃন্দ,এনজিও কর্মী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তারা।

 

মহামারী করোনার সংক্রমণ ও জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে অনেক মানুষকে এক জায়গায় জড়ো না করে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।

 

ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপক কুমার রায় জানান, বর্ধিত পৌরসভার  ২৭ টি ওয়ার্ড থেকে সর্বাধিক দুস্থ ও অসহায় এবং কর্মহীন ২ হাজার ৮০০ জন এবং সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১ হাজার ২০০ জন সহ মোট ৪ হাজার জনের মাঝে এই ঈদ উপহার প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত মানবিক সহায়তা কার্ড এর মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সরাসরি তত্ত্বাবধানে উপকারভোগীদের নিকট পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

 

তিনি জানান, এই ঈদ উপহার এর প্রতিটি বস্তায় রয়েছে চাল ১০ কেজি, আলু ৫ কেজি, চিনি ১ কেজি, সেমাই আধা কেজি, ডাল ১ কেজি, দুধ ১ লিটার।

 

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, করোনায় এই দূর্যোগে শুধু ঈদ উপহারই নয়, আমরা রমজানে মাসব্যাপী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রতিদিন দুস্থদের মাঝে ইফতার বিতরণ, নির্বাচিত দুস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মোট ৪৩ হাজার মানুষের মাঝে প্রতিজনকে ২ হাজার ৫শত টাকা, ভিজিএফ হিসেবে সমগ্র ফরিদপুর জেলায় ১ লক্ষ ৬ হাজার ৮৮১ জনের প্রতিজনকে ৪৫০ টাকা করে প্রদান, ৫০০ টাকা করে জেলার ৮১ টি ইউনিয়নে প্রতিটিতে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২ কোটি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে এবং ৩৩৩ বা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের হট লাইন নাম্বারের মাধ্যমে যখনই কোনো দুস্থ ও অসহায় মানুষের সহযোগিতার আবেদন পাওয়া যাচ্ছে তখনই জেলা প্রশাসনের কুইক রেসপন্স টিম এর মাধ্যমে তড়িৎ পদক্ষেপ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।

 

ফরিদপুর করোনা ম্যানেজমেন্ট এন্ড রিলিফ অপারেশন শীর্ষক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গতবছর করোণা প্রাদুর্ভাবের সূচনা লগ্ন হতেই চলমান এই কার্যক্রম দুস্থ ও অসহায় মানুষদের কাছে এক স্বস্তির জায়গায় পরিণত হয়েছে।

 

কিউআর কোড সম্বলিত বিশেষ ধরনের উদ্ভাবিত কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সহায়তা সকলের মাঝে নির্ভুলভাবে নিয়মিত বিতরণ করা হচ্ছে। টিসিবি ও অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রণোদনাও যথাযথভাবে নিয়মিত জনগণের নিকট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

 

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি মহামারি এই সময়ে কে যেনু অভূক্ত না থাকে।

 

যাযাদি/ এমডি