বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

​নিষ্ঠুর নির্মমতা!

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
  ১১ মে ২০২১, ২০:৩৮

কোনো শত্রুতা নয়, নয় কোনো প্রতিহিংসা বা জমে থাকা ক্ষোভ। শুধু প্রতিবেশীর রান্নাঘরে দেড় বছরের শিশু প্রস্রাব করার মাসুল দিতে হলো জীবন দিয়ে। দেড় বছরের শিশুর বোধশক্তির জন্মই যেখানে হয়নি সেখানে ৪৫ বছরের আরেকজন মা তাকে আছড়ে হত্যা করে মরদেহটি লুকিয়ে রেখেছিল।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছেন শিশু আরাফাত হত্যার দায়ে আটক কোহিনুর বেগম। দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) শাহাদত হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কোহিনুর তার রান্নাঘরে চুলার পাশে খেলতে খেলতে প্রস্রাব করে ফেললে কোহিনুর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং শিশুটিকে তুলে আছড়ে ফেলে দেয়। এ সময় প্রচণ্ড আঘাতে শিশুটি মারা গেলে বস্তায় পেঁচিয়ে চুলার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। পুলিশ জানায়, তাকে এ কাজে আরও ২/১ জন সহযোগিতা করেছে বলে কোহিনুর জানিয়েছে।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার দৌলতপুর ইউপির দাড়েরপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের শিশু পুত্র আরাফাত হোসেন গত শনিবার সকাল থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আরাফাতকে খুঁজে না পেয়ে তার পিতা দৌলতপুর থানায় জিডি করেন। এরপর শিশুর স্বজন ও থানা পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে গত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শরিফুল ইসলামের প্রতিবেশী সফের উদ্দিন চুড়িওয়ালার বাড়ির রান্না ঘরের পরিত্যক্ত চুলার মধ্যে বস্তা দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশু হত্যার দায়ে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক সফের উদ্দিন চুড়িওয়ালার স্ত্রী কোহিনুরকে (৪৫) আটক করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে শিশুটির পিতা শরিফুল বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।

দৌলতপুর থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে আসামি কোহিনুরের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে