কুষ্টিয়ায় তাছের নামের এক কথিত পীরের দরবার থেকে দুইটি হরিণ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় শের খান নামের দরবার শরীফের এক ভক্তকে আটক করা হয়। দৌলতপুর উপজেলার কল্যানপুরে এই ঘটনা ঘটে।

এ প্রসঙ্গে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিনসহ বন বিভাগের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কল্যানপুর দরবার শরীফে অভিযান চালানো হয়। এ ঘটনায় দরবার শরীফের পীর তাছের ফকিরসহ দু’জনের নামে মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগ।

সেই চিনি এতিমখানায়

বন বিভাগের কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, কল্যানপুর দরবার শরীফের ভেতরে অবৈধভাবে দুইটি হরিণ আটক করে রাখা হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন ও দৌলতপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় দরবার শরীফের ভেতর থেকে হরিণ দুইটি উদ্ধার করা হয় একজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন-২০১৭ ধারায় কল্যানপুর দরবার শরীফের পীর তাছের ফকিরকে প্রধান আসামি করে দুই জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মামলায় শের খানকে আটক দেখানো হলেও পলাতক দেখানো হয়েছে দরবারের কথিত পীর তাছের ফকিরকে।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, তাছের পীরের দরবার শরীফ থেকে দুইটি হরিণ উদ্ধার করে বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেছি। এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে বন বিভাগের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, কল্যানপুর দরবার শরীফের মধ্যে হরিণ আছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে দুইটি হরিণ উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত রোববার দুপুরে মোবাইল চুরির অভিযোগে কল্যানপুরে কথিত পীর তাছের ফকিরের ওই দরবার শরীফের ভেতরে রাশেদ নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত যুবক দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের হরিনগাছী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হলে মামলার ৬ আসামি গ্রেপ্তার হলেও অজ্ঞাত কারণে মামলার অন্যতম হুকুমদাতা প্রধান আসামি কল্যানপুর দরবার শরীফের কথিত পীর তাছের ফকিরসহ এজাহার নামীয় অপর আসামি সুজন, সালাম ও কালাম গ্রেপ্তার হয়নি।

যাযাদি/এসএইচ