২৮ দিন পর থানা হাজত থেকে মুক্তি পেল ৪টি গরু

প্রকাশ | ১১ জুন ২০২১, ১৯:৩৯

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় চুরি সন্দেহে আটককৃত ৪টি গরু ২৮ দিন পর পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গরু ৪টি মালিকের নিকট ফেরত দিয়েছে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ। চুরির সাথে সম্পৃক্ততা প্রমাণিত না হওয়ায় একই সাথে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে গরুগুলোর মালিক লিটন শেখকে।

 

জানা গেছে, গত ১০ মে দিবাগত রাতে উপজেলার বানা ইউনিয়নের বেলবানা গ্রামের আবু সাইদ মোল্যার একটি গরু তার বাড়ি থেকে চুরি হয়। এর দুই দিন পর পার্শ্ববর্তী হেলেঞ্চা গ্রামের বাচ্চু শেখের ছেলে মো. লায়েক শেখ গংদের মাংসের দোকান থেকে চুরি যাওয়া গরুর চামড়া উদ্ধার করে থানা পুলিশ। পুলিশের জেরায় লায়েক শেখ গরু চুরির কথা স্বীকার করে। এ সময় লায়েক শেখের জিম্মা থেকে আরও ৪টি গরু আটক করা হয়। গত ১৩ মে এ ঘটনায় আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করে মো. আবু সাইদ মোল্যা। এ মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করা হয় গরুর মালিক লিটন শেখকেও ।

 

জানা যায়, কুয়েত প্রবাসী লিটন শেখ ব্যবসায়ীক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে ৪টি গরু মাংস ব্যবসায়ী লায়েক শেখের নিকট দেয়।

 

পরে মামলার বাদী মো. আবু সাইদ মোল্যা এ ব্যাপারে লিখিত অঙ্গীকারনামা দেন যে জব্দকৃত ওই চারটি গরু তার নয়। আবু সাইদ মোল্যা ফরিদপুর ৭ নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট এই মর্মে লিখিত দেন যে, লিটন শেখ তার আসামি না। তাই তাকে জামিনে মুক্তি দিলে তার কোন আপত্তি থাকবে না।

 

আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক জব্দকৃত চারটি গরুর মালিকানা যাচাই করে দাখিলকৃত প্রতিবেদন যথাযথ না হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, লিটন শেখ একজন কুয়েত প্রবাসী। বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে নিজেকে বেকারত্ব মনে করে মাংস ব্যবসায়ী লায়েক শেখের অনুরোধে ব্যবসার উদ্দেশ্যে নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানাধীন লাহুড়িয়া কালিগঞ্জ গরুর হাট হতে অত্র মামলার জব্দকৃত চারটি গরু কিনে দেয়। জব্দকৃত চারটি গরুর প্রকৃত মালিক লিটন শেখ।

 

প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর জব্দকৃত গরু চারটির প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত হওয়ার পর অবশেষে গত ১০ জুন জব্দকৃত চারটি গরু মালিক লিটন শেখের নিকট ফিরিয়ে দিয়েছে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ।

 

যাযাদি/ এমডি