শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দৌলতদিয়ায় প্রশাসনের বাঁধায় ফিরে গেল বালু ভর্তি বলগেট, ভেঙে দেয়া হলো বালু ঘাট

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
  ১২ জুন ২০২১, ২১:২৮

গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা কয়েকটি বালু ঘাট ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনের বাঁধা পেয়ে ফিরে গেছে বালু বোঝাই বেশ কয়েকটি বলগেট।

জানা গেছে, সরকারী দলের ছত্রছায়ায় থেকে স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতা-কর্মী ঘাট ও ঘাটের সংযোগ সড়কের দুইপাশ দখল করে এ বালু ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে ।

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসন ও বিআইডবিøউটিএ কতৃপক্ষ ঘাট এলাকায় যৌথভাবে অভিযান চালায়। অভিযানে দৌলতদিয়ার ৬ নং ও ৭ নং ফেরিঘাট এলাকায় গড়ে তোলা কয়েকটি বালু ঘাট ভেঙে দেয়া হয়। এ সময় বালু নিয়ে আসা বেশ কয়েকটি বলগেট প্রশাসনের বাঁধায় ঘাটে ভিরতে না পেরে ফিরে যায়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বলগেট কোন উপায় না পেয়ে ৬ নং ঘাটে বেধে রাখে।

এ সময় কয়েকজন বলগেট চালক বলেন, বালু গুলো নিয়ে এখন আমরা কি করবো জানি না। বালু আনলোড করতে না পারলে বিল পাব না। সে ক্ষেত্রে শ্রমিকদের বেতন দেয়াসহ অন্যান্য ব্যায় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে যাবে।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আজিজুল হক খান মামুন, গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিআইডবিøউটিএ'র উপ-পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) মোহাঃ মাসুদ পারভেজ, নৌ-সংরক্ষন ও পরিচালনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মোঃ এনামূল হক,উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মকবুল হোসেন,আরিচার বন্দর সমন্বয় কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজিজুল হক খান মামুন বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটকে আধুনিক নৌ-বন্দরে উন্নীত করন ও ঘাট সংরক্ষনের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। এ জন্য ঘাট এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে থাকা সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। বালু ব্যবসায়ীদের গত এক সপ্তাহ ধরে বলার পরও তারা গড়িমসি করছিল। যে কারনে অভিযান চালিয়ে তাদের নির্মিত ঘাট গুলো তুলে দেয়া হয়েছে। সেইসাথে বেশকিছু বালুভর্তি বলগেট ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপরও তাদের কেউ এখানে বালুর ব্যাবসা চালানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে