​প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে অশ্রুসজল ছফুরা বেওয়া

প্রকাশ | ১৯ জুন ২০২১, ১০:২৩

আক্কেলপুর(জয়পুরহাট) সংবাদদাতা

 

 

‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার স্লোগানকে সামনে রেখে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামীকাল ২০ জুন সারাদেশে ৫৩৩৪০টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ২ শতাংশ করে জমি ও ২ কক্ষ বিশিষ্ট একটি করে পাকা বাড়ি উপহার পাচ্ছেন।

 

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম আমানপুর। এ গ্রামের ৬৮ বছর বয়সী বিধবা ছফুরা বেওয়া। ১৩ বছর আগে স্বামী হারিয়ে মানুষের বাড়ীতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দুই ছেলে ও ২ মেয়ের বিয়ের পর অনেকটা একা হয়ে পড়েন বৃদ্ধা ছফুরা। মানুষের আশ্রিত জায়গাতে মাটির ঘর করে এক রকম মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। একখন্ড জমি এবং পাকা বাড়ি তার কাছে স্বপ্নের মতন। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে একটি দৃষ্টি নন্দিত বাড়ি ও ২ শতাংশ জমির মালিকানা পেয়ে তার চোখ অশ্রুসজল। তবে এই অশ্রু বেদনার অশ্রু নয়, এই অশ্রু আনন্দঅশ্রু। কৃতজ্ঞচিত্তে তিনি জানান, “শেখের বেটি হামাক একখান ঘর দিছে বাপু। হামি সারাজীবন তার জন্যি দোয়া করিব। আল্লাহ যেন তাক দীর্ঘজীবী করেন।

 

এদিকে “শারিরীক প্রতিবন্ধী আব্দুল জলিল (৫২) স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তার দুই পা প্যারালাইজড। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ হুইল চেয়ারে চলাফেরা করছেন। এক সময় পারিবারিক অবস্থা ভালো ছিল কিন্তু স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার পর চিকিৎসা করাতে গিয়ে তার সহায় সম্বল সব বিক্রি করে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন তিনি। তার স্ত্রী গার্মেন্টসে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু তিনিও অসুস্থ হয়ে যাবার পর তারা ঢাকা ছেড়ে এলাকায় চলে আসেন এবং মানুষের বাড়ীতে আশ্রিত হয়ে জীবন নির্বাহ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার পেয়ে আবেগ আপ্লুত জলিল বলেন, আজ আমি আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। আমার একটি আশ্রয় হয়েছে। সামাজিক ভাবে আমার একটি অবস্থান তৈরি হয়েছে। আমাকে আর কেউ অবাঞ্চিত বা উঠুলী বলে গালি দিতে পারবে না। আমিও আজ একজন ভূমির মালিক। আমারও নিজের মতো করে বাঁচার অধিকার আছে। সামাজিক ভাবে আমিও মর্যাদার অধিকারী। আমানপুরে এমন ১০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের ঠাঁই হয়েছে। অধিকাংশ পরিবারই শ্রমিক এবং দিনমজুর হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে।

 

আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম হাবিবুল হাসান জানান, মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এ উপজেলার ১০টি পরিবারকে ২ শতাংশ করে খাস জমি ও দ্বি কক্ষ বিশিষ্ট সুদৃশ্য একটি বাড়ির বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। উপকারভোগী বাছাই এবং গৃহ নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা নিয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন পূরণে উপজেলা প্রশাসন দৃঢ প্রতিজ্ঞ।

 

যাযাদি/এসএইচ