​গোদাগাড়ীতে শিশু সুমাইয়ার ধর্ষক বন্ধুকযুদ্ধে নিহত

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০২১, ১২:২৬

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় সুমাইয়া খাতুন (১০) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার ধর্ষক শামীম (২০)পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। সে উপজেলার বাউটিয়া গ্রামের মৃত শফিকের ছেলে। শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে ললিতনগর মাকরান্দা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

 

গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম তা নিশ্চিত করে বলেন, তার কাছ থেকে শিশুটির বাড়ি থেকে চুরি হওয়া একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও তার কাছে থাকা একটি বিদেশী পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিদ উদ্ধার করেছে বলে জানান তিনি।

 

রাজশাহী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ললিতনগর এলাকায় টহলে ছিল। এসময় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী পুলিশের উপর হামলা চালালে পুলিশ গুলি চালায়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়।

 

গত শনিবার (১৯ মে) গভীর রাতে উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের ললিতনগর শিশুটিক ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। নিহত শিশু সুমাইয়া ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। সে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সুমাইয়া বাড়িতে টিভি দেখে। এরপর একাই ঘুমাতে যায়। রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তার বাবা-মা মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে তারা বাড়ির পাশের ছাদে একটি খড়ের পালার নিচে সুমাইয়ার মরদেহ দেখতে পান।

 

ইফতেখায়ের আলম বলেন, পুলিশ ঘটনার পর থেকে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সন্ধানে ছিল। মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের পর তারা নিশ্চিত হয়েছেন শিশু সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে শামীম জড়িত।

 

গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান জানান, গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সুমাইয়া বাড়িতে টিভি দেখে। এরপর একাই ঘুমাতে যায়। রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তার বাবা-মা মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে তারা বাড়ির পাশের একটি বাড়ীর ছাদে খড়ের পালার নিচে সুমাইয়ার মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে কাঁকনহাট পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহের যৌনাঙ্গে রক্ত দেখা গেছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে রাতের যে কোন এক সময় শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এরপর মরদেহ খড়ের পালার নিচে লুকয়ে রাখা হয়েছিল।

 

যাযাদি/এসএইচ