নদী ভাঙন রোধে নিম্নমানের জিও ব্যাগ ফেলার অভিযোগ
প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০২১, ১১:৩৯

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনা নদীতে ভাঙনরোধে ব্যবহৃত হচ্ছে নিম্নমানের জিও ব্যাগ। জিও ব্যাগে বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে ভর্তি করে ভাঙন কবলিত এলাকায় ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নদী ভাঙন কবলিত মানুষ।
জানা যায়, গত দুই সপ্তাহ ধরে উপজেলার বাঘুটিয়া ও খাষপুকুরিয়া ইউনিয়নের বিনানই , মোকার ভাঙ্গা গ্রামের এক কিলোমিটার জুড়ে যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এতে তিনটি প্রাইমারি স্কুল , পুরোনো আধা-পাকা ঘরবাড়িসহ শতাধিক পরিবার ভাঙনের কবলে রয়েছে।
এ দিকে, ভাঙনরোধে টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ড একশ কিলোমিটার ভাঙন এলাকার মধ্যে ভাঙনরোধে ৫০ লাখ টাকার প্রকল্পের অধীনে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছে। এতে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ড যমুনা নদীতে জিও ব্যাগ ফেলছে। বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে ভর্তি করা জিও ব্যাগগুলো নিম্নমানের হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
ভাঙন কবলিত মানুষদের অভিযোগ, যমুনা নদীতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে তা নিম্নমানের। জিও ব্যাগে বালুর পরিবর্তে ভিট মাটি দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ভর্তি করা জিও ব্যাগে ঘাস দেখা গেছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠা সেন্টু মিয়া জানান, কিছু কিছু নৌকায় জিও ব্যাগে ভিট মাটি পাওয়া গেছে। সেগুলো পরিবর্তন করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়ার্ক এসিস্ট্যান্ট নুরুজ্জামান মিয়া জানান, কয়েকটা নিম্ন মানের জিও ব্যাগ ছিল পরে পরিবর্তন করা হয়েছে ৷ ব্যাগে মাটি ও কিছু ব্যাগে ঘাস পাওয়া গেছে। সেগুলো পরিবর্তনের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে।
এদিকে খবর ছড়িয়ে পড়লে চৌহালী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মাহিদ-আল হাসান দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিম্নমানের জিও ব্যাগের পরিবর্তে উন্নতমানের জিও ব্যাগ ফেলার নির্দেশ দেন।
টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, নিম্নমানের জিও ব্যাগ পরিবর্তন করে এবং বালু দিয়ে ভর্তি করে ভাঙন এলাকায় ফেলার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেখানে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ হচ্ছে সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা রয়েছেন
যাযাদি/ এমডি