বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

৮ লাখে বিক্রির অপেক্ষায় পান বিক্রেতার লালু, সবজি বিক্রেতার আলিফ

আলফাজ সরকার আকাশ, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  ১২ জুলাই ২০২১, ২০:৫৩

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিন্দুবাড়ি গ্রামের সবজি বিক্রেতা ইসমাইল হোসেনের পালন করা ১৮ মন ওজনের ষাঁড় আলিফ। যার দাম চাওয়া হচ্ছে ৮ লাখ টাকা। আর উপজেলার নগরহাওলা গ্রামের পান বিক্রেতা হালিম মিয়ার গোয়াল ঘরের ফ্রিজিয়ান জাতের সমান ওজনের ষাঁড় লালুর দামও ৮লাখ টাকা হাঁকানো হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতা ইসমাইল হোসেন জানান , সম্পুর্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে লালন-পালন করা ষাঁড় আলিফ কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘাস, শুকনা খড়, গমের ভুষি, ভুট্টা তার প্রধান খাদ্য। তবে, করোনার লক ডাউনে হাট না বসায় বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটছে । কঠোর বিধিনিষেধ চলমান থাকায় ৪ বছর বয়সী এই গরুটির এখনো কোনো ক্রেতা পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।

পান-সুপারি বিক্রেতা হালিম মিয়া বলেন, নিজের পালন করা গাভীর দেয়া বাচ্চাটি যত্নের সাথে ৫ বছর ধরে কাঁচা ঘাষ পাতা ও ভাতের মার খাইয়ে বড় করা হয়েছে। গরুটিই আমার পরিবারের একমাত্র সম্বল। ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে সংসারের কাজে লাগানো যাবে। তিনিও কোনো ক্রেতা পাচ্ছেন না বলে হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

শ্রীপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রুকুনুজ্জামান পলাশ যায়যায়দিনকে বলেন, করোনায় বাজারে বিধিনিষেধ থাকায় এতাদিন বিক্রি কম হয়েছে কোরবানির পশু। তবে, অনলাইনে বেচাকেনা জমে উঠেছে। অনেকেই আবার ফেসবুকসহ অন্যান্য উপায়ে ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। কোরবানির প্রাণী বিক্রির বিষয়ে খামারিদেরকে অফিস থেকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে