পটুয়াখালীতে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও কমছে সচেতনতা
প্রকাশ | ২৫ জুলাই ২০২১, ১৭:৫৯
কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে এসে পটুয়াখালী জেলায় সাধারণ মানুষের চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত দুই দিনের থেকে এদিন শহরের অলি গলি থেকে শুরু করে মহা সড়কেও মানুষের চলাচল দেখা যায়। মাঝে মধ্যে র্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্য সহ জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা টহল দেয়ার সময় মানুষ আড়ালে গেলেও পরে আবারও মানুষ স্বাভাবিক ভাবে ঘোরাঘুরি করছে।
রবিবার দুপুরে পটুয়াখালী- কুয়াকাটা মহা সড়কে পটুয়াখালী চৌরাস্তা থেকে হেতালিয়া বাঁধঘাট এলাকা পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়। মহা সড়কের যাত্রীবাহি বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল গুলো বাস স্টান্ড এর উত্তর পাশে বিদুৎ গ্রীড উপকেন্দ্রের সামনের মাঠ থেকে বিভিন্ন রুটে মোটরসাইকেলে করে পৌঁছে দিতে যাত্রী তুলছে। পাশাপাশি অটোরিকশা গুলোতেও কোন ধরনের সামাজিক দূরত্ব কিংবা স্বাস্থ্য বিধি না মেনে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।
হেতালিয়া বাঁধঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় নানা অজুহাতে মানুষ বাজারে ঘোরাঘুরি করছেন। কেউ কেউ নিজেকে বাঁচাতে হাতে বাজারের ব্যাগ নিয়ে ঘুরছেন আবার কেউ ঔষধ কেনার অজুহাত বিভিন্ন দোকানে আড্ডা দিচ্ছেন।
তবে মাঝে মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দেখলে এসব অতি উৎসাহী মানুষ গুলো অলি গলিতে ঢুকে পরছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, গত দুই দিয়ে পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় ২৭৯ জনকে ৩ লক্ষ ৭৯ জাহার ১৬০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আজও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তবে মানুষের মধ্যে সচেতনতা না বাড়লেও পটুয়াখালীতে ক্রমশ করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ জাহাংগীর আলম সিপন জানান, সর্বশেষ শনিবার জেলায় ১০৬ জনের করোনা ভাইরাস পজেটিভ হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ১৭ জন, কলাপাড়া- ১৪ জন, গলাচিপা ০১ জন, মির্জাগঞ্জ ২৬ জন, বাউফল ৩৯ জন, দুমকী ০২ জন, দশমিনা ০৭ জন। জেলার বিভিন্ন উপজেলার ২৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই রোগী সনাক্ত হয়।
শনিবার পর্যন্ত জেলায় মোট পজিটিভ রোগী-৩৫৫৮ জন, যার মধ্যে শনিবার সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র- পেয়েছেন ১৩জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছন মোট- ২৫৬০ জন।
বর্তমানে আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন- ৯২৩ জন,( হাসপাতালে ৪৩ জন এবং হোমে - ৮৮০ জন) আর শনিবার মারা গেছেন এক জন। সিভিল সার্জন আরও জানান করোনার শুরু হতে এ পর্যন্ত ২৫৮৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এবং ৭৪ জন মারা গেছেন।
যাযাদি/এস